মুম্বাই, ১৯ জুন- সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনার পর থেকে একটা শব্দ বলিউডের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তা হলো নেপোটিজম। ইতোমধ্যেই সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে সালমান খান, করণ জোহর, সঞ্জয় লীলা বনসালি-সহ একাধিক নামী তারকার বিরুদ্ধে। দানা বেঁধেছে ক্ষোভ। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল সালমান খানের বাড়ির সামনে। কয়েক ঘণ্টা আগেই সামনে এসেছিল সুশান্তের শহর পাটনায় সালমান থানের বিইং হিউম্যান স্টোরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতার একদল ভক্ত। এ বার সেই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ল সরাসরি বজরঙ্গি ভাইজানের বাড়ির সামনে। অনলাইনে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সালমানের বান্দ্রার বাড়ির সামনে তাঁর বিইং হিউম্যান স্টোর বন্ধ করে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন বহু মানুষ। সেখানে সালমান খান মুর্দাবাদ স্লোগানও শোনা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, সালমান খানকে গালিগালাজও করেছে বিক্ষোভকারীরা। বলেছে সালমানের টানানো ছবি সরিয়ে দাও। যদিও এই খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তত্পরতা দেখিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। বিক্ষোভের ভিডিওটি ট্যাগ করে ট্যুইটে বলেছে, বান্দ্রা থানার শীর্ষ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরই আঙুল উঠেছিল বলিউডের প্রথম সারির বেশ কিছু অভিনেতা, প্রযোজক এবং পরিচালকের বিরুদ্ধে। ঠিক যেমন থ্রি ইডিয়টস ছবিতে জয় লোবোর আত্মহত্যাকে র্যাঞ্চো আদতে খুন বলে দাবি করেছিলেন, সুশান্তের ক্ষেত্রেও তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বলিউডের এই সব মাথাদের বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বহু সেলেবও মুখ খুলেছিলেন, কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল সলমান খান , করণ জোহর, সঞ্জয় লীলা বনশালী, যশ রাজ ফিল্মস-কে। এমনকি তাঁকে প্রথম ব্রেক দেওয়া একতা কাপুরকেও। তবে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় মৌখিক অভিযোগেই বিদ্ধ হলেন না এঁরা। বিহারের মুজাফ্ফরপুরের এক আদালতে এদের সবার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬, ১০৯, ৫০৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা। তিনি জানান, মামলায় আমি অভিযোগ করেছি যে প্রায় ৭টি ছবি থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, কিছু ছবি হলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছিল না। এমন পরিস্থিতি তাঁর জীবনে তৈরি করা হয়েছিল, যা সুশান্তকে বাধ্য করেছিল এই চরম পদক্ষেপ করতে। কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপমও আগে দাবি করেছিলেন, গত ৬ মাসে সুশান্তের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল ৭টি ছবির অফার। ট্যুইটে তিনি লিখেছিলেন, ৬ মাসে সাতটা ছবি হাতছাড়া হয়ে গেল! কিন্তু কেন? এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নির্মমতার কোনও সীমা নেই। আর এই নির্মম আচরণই এক প্রতিভাবান অভিনেতার প্রাণ কেড়ে নিল। এ দিকে, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অনিল দেশমুখ আশ্বস্ত করে বলেছেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে পেশাদারি শত্রুতার কোনও কারসাজি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। সূত্র: টুইটার, এইসময়, ফিল্মিওয়ান আর/০৮:১৪/১৯ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2YLp81U
June 19, 2020 at 01:24PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন