মুম্বাই, ০৭ জুলাই- সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডেনেপোটিজমের জোর ধাক্কা লেগেছে। সেটা শুধু অভিনয় শিল্পীদের বেলায়ই নয়। স্বজনপোষণ বিষয়টি সঙ্গীত শিল্পীদের বেলায়ও রয়েছে, এমন অভিযোগ করেছিলেন শিল্পী সোনু নিগম। সোনুর পর এবার মুখ খুললেন কণ্ঠশিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্য। সঙ্গীতশিল্পীদের বেলায় স্বজনপোষণের ব্যাপারটি আলোচনায় এনে অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, এসব এখনই বেশি হচ্ছে। ১৯৯০ সালের আগে এসব কারো ভাবনায়ও আসত না। একটি গান একজন গায়কের থেকে অন্যজনের কাছে চলে গেছে, এটি আগেও হয়েছে, তবে এমন নোংরামো আগে হতো না। কোন গান কোন গায়ক গাইবেন, তা সংগীত পরিচালক বা সুরকাররাই সিদ্ধান্ত নিতেন, কোনো মিউজিক কোম্পানি বা অন্য কোনো অভিনেতা নয়। ভারতের সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ক্ষুব্ধ অভিজিৎ ভট্টাচার্য আরও বলেন, কোন গায়ক গান গাইবেন, তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সালমান খান কে? কোনো গায়কের গাওয়া গান সালমান কীভাবে নিয়ে নিতে পারেন? আর এখানেই তো পক্ষপাতিত্ব স্পষ্ট। অভিজিত আরও বলেন, আমার সময় নেপোটিজম বিষয়টা কখনো ছিল না। তবে হ্যাঁ, কেউ কারো পছন্দের, কারো শিবিরেরসেটা ছিল, তবে এ রকম নোংরামো কখনো হতো না। সে সময় একজন প্রযোজক কোনোদিন সংগীত পরিচালকের কাজে হস্তক্ষেপ করতেন না। আর ডি বর্মন, খৈয়াম সাব, ও পি নায়ার, রবীন্দ্র জৈনকে বলার সাহস কারো ছিল না যে একে দিয়ে গাওয়ান। তাঁরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতেন। যদি নির্দিষ্ট কোনো গান কোনো গায়কের গলায় ভালো না লাগার বিষয় হতো, তখন হয়তো অন্য কাউকে দিয়ে গাওয়ানো হতো। কবিতা কৃষ্ণমূর্তিও তো কোনো বড় সংগীত পরিবার থেকে আসেননি, স্বতন্ত্র গায়ক ছিলেন, তবুও তাঁকে ডেকে সংগীত পরিচালকেরা গান গাইয়েছেন। তবে শুধু সোনু বা অভিজিৎই নন, মুখ খুলেছেন ইলা অরুণও। পুরো সংগীতজগৎই এখন কারসাজির খেলা বলে কটাক্ষ করেছেন ইলা অরুণ। তার কথায়, কোনো ভালো সংগীত পরিচালক এখন সফল হতে পারেন না। কারণ, এই স্বজনপোষণ। গোটা সংগীতজগৎটাই এখন মাফিয়ারা চালাচ্ছে। কারো ভবিষ্যৎ ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করা হয়। আগে সবকিছু অনেক সুস্থ, স্বচ্ছ ছিল। এখন গুন্ডামো হয়। এম এন / ০৭ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2VU9UqM
July 07, 2020 at 12:23PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন