কলকাতা, ৩১ জুলাই - বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গে ঘর ভাঙলো বিজেপির। তৃণমূলে ফিরলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্র ও তার ভাই প্রশান্ত মিত্র। আজ, শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে তাঁদের হাতে ফের একবার দলীয় পতাকা তুলে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এক বছরের মধ্যেই ঘর ওয়াপসি হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রভাবশালী নেতা বিপ্লব মিত্র। গত লোকসভা নির্বাচনের পরই তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিপ্লব মিত্র। তাঁর সঙ্গেই বিজেপিতে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি, একঝাঁক জেলা পরিষদ সদস্য, কাউন্সিলর এবং পঞ্চায়েত সদস্য। এরপর দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি হন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী পোড়খাওয়া রাজনীতিক বিপ্লব মিত্র। দীর্ঘদিন সামলেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতির পদ। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের কাছে পরাজিত হন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী, নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ। এই পরাজয়ের জন্য বিপ্লব মিত্র ও তাঁর অনুগামীদের দায়ী করেন অর্পিতা। বিপ্লবকে জেলা সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বিজেপিতে যোগ দেন বিপ্লব মিত্র।তাঁর ভাই প্রশান্ত মিত্র ছিলেন গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান। [আরও পড়ুন : তৃণমূলের সামান্য কর্মী ছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়েই কার্যকর্তা হয়েছেন অর্জুন সিং ] তৃণমূল সূত্রের খবর, বিপ্লব মিত্রের ঘর ওয়াপসি আগেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। গত সপ্তাহেই অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতি করা হয় গৌতম দাসকে। এর জেরে বিপ্লব মিত্রের ফেরার রাস্তা আরও মসৃণ হয়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই বিপ্লব মিত্রর আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের প্রয়াণে সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়। বিপ্লব মিত্রর তৃণমূলে ফেরার খবরে উচ্ছ্বসিত তাঁর অনুগামীরা। এদিন তৃণমূল ভবনে বিপ্লব মিত্রের প্রত্যবর্তনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতিও। শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিপ্লব মিত্র বলেন, ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। আমাকে দিদি উত্তরবঙ্গে নানা দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমাকে জেলার সভাপতি করা হয়েছিল। ঘাত-প্রতিঘাতে দল করেছি। যে কোনও কারণে মাঝে বিচ্যুত হয়েছিলাম। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে আমার ভাই ও আমি আমাদের ঘরে ফিরে এলাম। আমাদের একটাই লক্ষ্য দলকে শক্তিশালী করা। আবার চেষ্টা করব পার্টিকে সংবদ্ধ করে যড়যন্ত্রের সঠিক জবাব দেব। ২১ জুলাই শহিদ দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের পুুরনো নেতা-কর্মীদের দলে ফিরতে আবেদন জানিয়েছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সেই ডাকে সাড়া দিয়েছে বিপ্লব ও প্রশান্ত মিত্র। এদিকে এদিন উত্তর বঙ্গের বিজেপি পর্যবেক্ষক নিযুক্ত হয়েছে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, বিপ্লব মিত্র তৃণমূলে যোগ দিলেও বিজেপির তেমন কোনও ক্ষতি হবে না। প্রথমত তিনি কোনও সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন না। তাছাড়া সেভাবে দলের কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত থাকতেন না। সুত্র : কলকাতা ২৪x৭ এন এ/ ৩১ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Do47mK
July 31, 2020 at 12:00PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন