কলকাতা, ১৬ জুলাই- পশ্চিমবঙ্গের কাজিরাঙায় রান্না করতে গিয়ে গৃহবধূর চোখ কপালে। চোখের সামনে জ্বলজ্যান্ত রয়্যাল বেঙ্গল দেখে বান্দরডুবি এলাকার ওই গৃহিণীর তো প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তার শাশুড়ি সকালে ছাগলের ঘরে ঢুকে বস্তা ভেবে এই বাঘের পিঠে হাত বুলিয়েছিলেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। বন দফতরের ২৪ ঘণ্টার অভিযানে অবশেষে অজ্ঞান করা হয় এটিকে। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা পশু চিকিৎসক শামসুল আলী জানান, মঙ্গলবার গোটা পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আশপাশের মানুষকেও ঘরের ভেতর আটকে রাখা হয়েছিল। তারা মনে করেছেন, বুধবার সকাল হলে বাঘটি নিজেই চলে যাবে। কিন্তু বেরোনোর লক্ষণই ছিল না তার। বাধ্য হয়েই ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ার সিদ্ধান্ত হয়। শামসুলই গুলি ছোড়েন। তার পর বছর দুই বয়সী ওই বাঘটিকে নিয়ে যাওয়া হয় পশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে। শামসুল জানান, বাঘটির ঘুম ভেঙেছে। এখন এটি বিপদমুক্ত। বন্যার পানিতে ভাসতে ভাসতে এটি বাগরি রেঞ্জ লাগোয়া বান্দরডুবি গ্রামের ওই বাড়ির রান্নাঘরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। কাজিরাঙায় এখন ১৫৩টি বন পানিতে ডুবে আছে। মৃত প্রাণীর সংখ্যা ৬৬টি। আসামের ২৬ জেলায় বন্যাকবলিত ৩৬ লাখ মানুষ। ৬২৯ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। গত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে এখানে। ফলে বন্যপ্রাণীরা পর্যন্ত আশ্রয় খুঁজতে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এম এন / ১৬ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/32mEywR
July 16, 2020 at 07:12AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top