কলকাতা, ১৯ জুলাই- কলকাতায় করোনার বাড়বাড়ন্ত অব্যহত। কনটেইনমেন্ট জোনে কড়া লকডাউন, নোডাল অফিসার নিয়োগ-সহ সরকারি স্তরে নানা পদক্ষেপ করা হলেও এখনও সংক্রমণে কিছুতেই রাশ টানা সম্ভব হচ্ছে না। শনিবার রাজ্যজুড়ে ২ হাজার ১৯৮ জন নতুন করে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক সংক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে কলকাতায়। এ ছাড়া মৃতের সংখ্যাও কলকাতায় সর্বাধিক। এ দিকে, কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ল। এদিন শহরে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৪ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও উদ্বেগজনকভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৬৮২ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৪৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় শহরে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ জন। আর এই মারণ ভাইরাসকে জয় করে এখনও পর্যন্ত শহরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬ হাজার ৯৬৬ জন। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ১৫৫। রাজ্যের মধ্যে এই শহরে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত ১ হাজার ৭৬ জনের মধ্যে ৫৬১ জন কলকাতার বাসিন্দা। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন এই মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন। যার অর্থ, প্রতি ২ ঘণ্টায় শহরে ১ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে, ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের মধ্যে শহরের বাজারগুলিতে ভিড় চিন্তায় রেখেছে স্থানীয় প্রশাসনকে। মাঝে লক ডাউনের কড়াকড়ি কমলেও নাগরিকদের বড় অংশই বাজারে ভিড় করে চলেছেন। সামাজিক দুরত্ব মানা তো দূরের কথা, মাস্ক না পরেও বাজার সারছেন অনেকেই। নাগরিকদের টাটকা মাছ, মাংস, সব্জি খাওয়ার তাগিদে রোজ বাজারে আসার প্রবণতায় রাশ টানতে শহরের বেশ কয়েকটি বাজার বন্ধ করলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে রবিবার থেকে শহরের সব বাজারে ব্যারিকেড করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। শনিবার কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করেছি, প্রতিটি থানা তাদের এলাকায় বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণে যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়। আরও পড়ুন:কলকাতায় ভারতের ৬ রাজ্যের প্লেন চলাচলে ফের নিষেধাজ্ঞা পুরভবনের কর্তারা জানিয়েছেন, শহরের বড় মাপের বাজার ৮০ টি। বেশিরাভাগ বাজারই সকাল-সন্ধ্যা খোলা। কিন্তু, এরপরেও দেখা যাচ্ছে, নাগরিকদের একটা বড় অংশই সকাল ৭ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত বাজারে ভিড় করছেন। মুখের বদলে গলায় ঝুলছে মাস্ক। দূরত্ব বিধির বালাই থাকছে না। নাগরিকদের এই প্রবণতার ফলেই করোনা বাড়ছে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন পুর কর্তারা। বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় ভিড় নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, অনেক ব্যাংকের লাইনে বেশ ভিড় হচ্ছে। এই ভিড় কমানোর জন্য ব্যাংকগুলি পুরসভার মতো স্লিপের ব্যবস্থা চালু করতে পারে, বক্তব্য পুর প্রশাসকের। সূত্র: এইসময় আর/০৮:১৪/১৮ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/30mkCYE
July 18, 2020 at 08:32PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top