ম্যানচেস্টার, ২৯ জুলাই - দুর্দান্ত ফর্মে থাকার পরও দল থেকে বাদ। স্টুয়ার্ট ব্রডের পেস কম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের প্রথম টেস্টে এমন অজুহাতে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছিল তাকে। এতদিন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের অন্যতম সেরা অস্ত্র, কী করে এই অপবাদ মেনে নেবেন? ব্রড মেনে নিতে পারেননি। বরং গণমাধ্যমের সামনে মনের সব ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। পরিষ্কার করেই জানিয়েছিলেন, এমনিতে আবেগপ্রবণ না হলেও বাদ পড়ার খবরটি শুনে আবেগ আটকে রাখতে পারেননি। বলেছিলেন, আমি কোনোভাবেই বুঝতে পারছি না, কীসের ভিত্তিতে নেয়া হলো এই সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে ব্রড জানিয়ে দিয়েছিলেন, নিকট ভবিষ্যতে তিনি নিজেকে নির্বাচকদের সামনে প্রমাণ করে ছাড়বেন। মুখে যতটুকু প্রকাশ করেছেন, ভেতরে ভেতরে নিশ্চয়ই আগুনটা আরও বড় হয়ে লেগেছিল। সেই আগুনেই যেন ক্যারিবীয়দের জ্বালিয়ে ছাড়লেন ডানহাতি এই পেসার। প্রথম টেস্টে যার সুযোগই হয়নি। সেই ব্রড পরের দুই টেস্ট খেলে হয়ে গেলেন সিরিজসেরা। আর হবেনই বা না কেন? দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর সিরিজ নির্ধারণী টেস্টেও যে ম্যাচ জয়ের কারিগর ছিলেন তিনি। এক টেস্টেই গড়েন বড় তিন কীর্তি। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ২৬৯ রানের জয়ে পিছিয়ে পড়া সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। এখন হয়তো টিম ম্যানেজম্যান্ট বুঝতে পারছে, দলে একজন ব্রডের গুরুত্ব কতখানি। আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন ব্রডের পাশে ৬০০ দেখছেন আথারটন এই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু পেসার ব্রডের যেন বোলিং পর্যন্ত অপেক্ষা করার ধৈর্য হলো না। দশ নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে যৌথভাবে দেশের দ্রুততম ফিফটির (৩৩ বলে) রেকর্ড গড়লেন ব্রড। ৪৫ বলে খেললেন ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস। এরপর বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে দেয়ার নেতৃত্বেও ব্রড। ৩১ রানে নিলেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ৩৬ রানে ৪ উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট নেয়ার কীর্তিও হয়ে গেল তাতে। এর মধ্যে আবার ৫০০ উইকেটের মাইলফলকও ছুঁলেন। এক ম্যাচে তিন কীর্তি। ম্যাচসেরা তো হলেনই। সঙ্গে আবার সিরিজসেরার পুরস্কারও হাতে তুললেন, প্রথম টেস্ট না খেলেই। মুখে আর কি জবাব দেয়ার প্রয়োজন আছে? সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৯ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/39BCOBs
July 29, 2020 at 05:51AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top