কলকাতা, ২৬ জুলাই - বেশ কয়েকদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরির জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, রাজ্য সভাপতির সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য, যুব মোর্চার সভাপতি পদে তাঁর ছেলেকে না বসানো, যাবতীয় বিষয় নিয়ে তিনি অসন্তুষ্ট, এমনই খবর ঘুরছিল বাজারে। কিন্তু সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে মুকুল রায় (Mukul Roy) জানিয়ে দিলেন, তিনি বিজেপিতে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। বললেন, আমার সঙ্গে বিজেপির কারও কোনও বিরোধ নেই। দলের কোনও সংঘাত নেই। আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার চলছে। কারা এটা করছে তদন্ত হোক। তিনি রবিবার বলেছেন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে আমি একশো শতাংশ সন্তুষ্ট। আমার কাছে দলের সংগঠনই বড় কথা। আমি দলের সংগঠনটাই করব। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আগে যেমন যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল, সেরকমই আছে। দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কিংবা রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধ এসব যে শুধুই জল্পনা ও অপপ্রচার তা সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, বিজেপি আমাকে সন্মান দিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ব দিয়েছিল। কলকাতায় এসে অমিত শাহ (Amit Shah) নিজে মুখে আমাকে বলে গিয়েছিলেন জয়ের অন্যতম কান্ডারী। তাছাড়া সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দলের আমি জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য। আমার খারাপ লাগছে এবং আমায় আঘাত দিয়েছে কিছুদিন ধরে কিছু সংবাদ মাধ্যম যেসব সংবাদ আমায় নিয়ে পরিবেশন করেছে। কেউ বলেছে মুকুল রায় দল ছাড়ছে। কেউ বলেছে মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে। আসলে করোনা পরিস্থিতির কারণে আমি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ছিলাম। রাজনৈতিক পরিধিটা বাড়াতে পারিনি। কিন্তু মোদি, কৈলাসজির নির্দেশ মেনে রাজনীতির আঙিনা থেকে সরিনি। শোনা যাচ্ছিল, তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব চেয়েছিলেন, যা নাকি তাঁকে কথা দিয়েও খেলাপ করে হাইকম্যান্ড. সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মন্ত্রী তো অনেকেই অনেক সময় হয়। আমি সংগঠন ভালবাসি। সংগঠনের কাজেই আমি খুশি। আমাকে বিজেপি পার্টি, মোদি, শাহ, কৈলাশজি অনেক সন্মান দিয়েছেন। আরও পড়ুন: শুরু বাংলা জয়ের তোড়জোড়, মুকুল রায়কে ছাড়াই দিল্লিতে বিজেপির প্রস্তুতি বৈঠক যে কারণে তিনি দিল্লির বৈঠক ছেড়ে কলকাতায় চলে আসেন তা নিয়েও অনেক জল্পনা ছড়ায়। তা নিয়ে মুকুল রায় বলেছেন, কাল আমার চোখে ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। আর দিল্লির মিটিংয়ে রাজ্য নেতৃত্ব আছে। আমার থাকার দরকার নেই। গুরুত্বপূর্ণ সভা হলে আবার থাকব। আমাকে বলাই হয়েছিল ২২ তারিখ আসুন। দু-একদিন থেকে যাবেন। কাজ থাকলে মিটিংয়ে অনেকে নাও থাকতে পারেন। একইসঙ্গে, লকডাউন ভালভাবে হলে রাজ্যে করোনাতে এত মৃত্যু হত না। বলে জানিয়েছেন মুকুল রায়। এন এইচ, ২৬ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/39uAJY4
July 26, 2020 at 02:22PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top