লিওনেল মেসির বার্সেলোনার ছেড়ে যাওয়ায় প্রক্রিয়াটা হয়ে উঠেছে ঠিক যেন দাবা খেলার চালের মতোই, যেখানে সব পক্ষ সতর্কভাবে এগোচ্ছে। ব্লুগ্রানারা আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে বুঝিয়ে রাজি করানোর চেষ্টা করতে চাইছে, যদিও খেলোয়াড়টি কোনো আলোচনাতেই রাজি নন। চুক্তির বিশেষ একটি ধারার সুবিধা নিয়ে বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে ক্লাবের কাছে আবেদন জানিয়েছেন লিওনেল। এ ধারায় তাকে বিনা ফিতেই যেতে দেয়ার কথা। কিন্তু সংকট তৈরি করেছে কভিড-১৯ মহামারী। এতে ২০১৯-২০ মৌসুমটাই পাল্টে গেছে। মে মাসে মৌসুম শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হলো আগস্ট মাসে এসে। কাজেই বার্সেলোনা এখন বলতে পারছে, ওই ক্লজটা এখন অকার্যকর, কাজেই তাকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত থাকবে হবে ন্যু ক্যাম্পে। নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের অধীনে সোমবার শুরু হবে বার্সেলোনার অনুশীলন, তার আগে রোববার স্কোয়াডের সব খেলোয়াড়ের পিসিআর পরীক্ষা হবে। মার্কার খবরে বলা হচ্ছে, দলবদল চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বার্সার সঙ্গে সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে অনুশীলনে যোগ দেয়ার কথা ভাবছেন মেসি। যদিও এখানেই জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তিনি অনুশীলনে যোগ দিলে বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার কাজটি কঠিন হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা। ৩৩ বছর বয়সী মেসি চাইছেন বার্সেলোনা ছাড়তে। যদিও ক্লাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে এই ধারণা পরিষ্কার যে, অন্তত আসন্ন মৌসুমে আর্জেন্টাইন তারকার যাওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে সংশয় ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষকরে, এ জগতের অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, মেসি অনুশীলনে ফেরা মানে বার্সার সঙ্গে চুক্তিটা সক্রিয় থাকবে, মাঠে তার উপস্থিতি মানে চুক্তির ওই ধারাটিও অকার্যকর হয়ে পড়বে এবং ক্লাবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা ২০২১ সালের ৩০ জুনের আগে শেষ হবে না। এ নিয়ে মিশ্র মত। যদিও বাস্তবতা হলো, দিনশেষে সবকিছু নির্ভর করবে সামাজিক বিচারকের ওপর। এ মুহূর্তে দূর থেকে বিষয়টির ওপর নজর রাখছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা, যদিও শান্ত ও ধীরস্থিরভাবে। খেলোয়াড়দের দলবদল নিয়ে উয়েফার অবশ্য করণীয় কিছু নেই, কিন্তু ক্লাবের নিবন্ধন কিংবা খেলোয়াড়ের নিবন্ধনের বিষয়টি দেখভাল করে তারাই। মেসি অনড় থাকলে বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতেই গড়াতে পারে। শুরুতে বার্সেলোনার বোর্ড কর্মকর্তারা মেসির প্রতি নমনীয় ছিলেন। মেসি কেন সিদ্দান্ত নিলেন, সেই ব্যাখ্যা চান কর্মকর্তারা। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে তারা এখন কঠোর এবং ক্লাবের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় চুক্তির ক্লজটা আর কার্যকর নেই এবং তাকে পেতে হলে আগ্রহী ক্লাবকে রিলিজ ক্লজের ৭০ কোটি ইউরোই দিতে হবে। আরও পড়ুন- বার্সা ছাড়লে মেসির ওপর আসতে পারে ফিফা নিষেধাজ্ঞা ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক র্যামন প্লানেস জানালেন, মেসির বিদায়ের কথা তারা ভাবছেন না এবং এ ব্যাপারে পদক্ষেপও নিচ্ছে কাতালানরা। এ পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম, খেলোয়াড়টির সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চান বার্তোমেউ। যদিও মেসি প্রেসিডেন্টকে এড়াতে চাইছেন। তার সিদ্ধান্তটা অপরিবর্তনীয় এবং এরই মধ্যে বিদায় নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন ও নিজের পরিকল্পনায় অটল থাকতে চান ছয়বারের ব্যালন ডিঅরজয়ী ফুটবলার। বার্তোমেউ পদত্যাগ করলে মেসি মন পরিবর্তন করে ন্যু ক্যাম্পে থাকতেও পারেন। আজ মার্কা জানিয়েছে, মেসি সিদ্ধান্ত পাল্টে বার্সায় থাকতে রাজি হলে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন বার্তোমেউ! ৩১ আগস্ট নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০১৯-২০ মৌসুম। এ মৌসুমের প্রকৃতির বিচারে, ক্লাবগুলোকে বলা হয়েছে, ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের হিসাব আলাদাভাবে না করে ২০১৯/২০ ও ২০২০/২১ মৌসুমেরটা সমন্বিতভাবে করা হবে। সূত্র: বণিক বার্তা এমএ/ ২৮ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/34F0h4p
August 28, 2020 at 07:56AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন