কলকাতা, ১০ আগস্ট - দুষ্কৃতী, তৃণমূল আর পুলিশ এই ত্রিফলায় খুন হয়েছেন হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। খুনিরা ধরা পড়বে। জেলে বসে পচা আলু আর ডাল খাবে। আজ হেমতাবাদে মৃত বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর স্মরণসভায় এমনই বক্তব্য রাখলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দেবেন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর প্রথমবার সেখানে গেলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিধায়কের বিন্দোলের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রী চাঁদিমা রায়ের সঙ্গে একান্তে বেশ খানিকক্ষণ কথা বলেন। দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস। এরপর বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সোমবার পূর্বঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী বেলার দিকে হেমতাবাদ যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। প্রথমেই বিন্দোলে দলের মৃত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ি যান। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। বাড়ির পরিস্থিতি দেখে বেরিয়ে তাঁর মন্তব্য, তিনি যে কতটা সরল মানুষ ছিলেন, তা বাড়ি দেখলেই বোঝা যায়। সেখানে প্রায় ১২ মিনিট থাকার পর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে, যে চায়ের দোকানে বিধায়কের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে পৌঁছন দিলীপ ঘোষ। দোকানের সামনে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মূর্তি তৈরির জন্য ভিতপুজো করেন তিনি। নিজে মন্ত্রোচ্চারণ করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দেন। এই জায়গাতেই তৈরি হবে বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মূর্তি। [আরও পড়ুন : বিজেপিতে যোগ দিলেন ১০ প্রাক্তন পুলিশকর্তা! ] ভিতপুজোর পর কালীবাড়ি এলাকায় দেবেন্দ্রনাথের স্মরণসভায় যোগ দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, দুষ্কৃতী, তৃণমূল আর পুলিশ, এই তিনে মিলে দেবেনদাকে খুন করেছে। পরিকল্পিতভাবে চিরকুটে কয়েকটা নাম লিখে তাঁর পকেটে সুইসাইড নোট ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসল দোষীরা ধরা পড়বেই। তখন জেলে পচা আলু আর ডাল খেতে হবে। তাঁর আরও বক্তব্য, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলাম আমরা। কলকাতা হাই কোর্ট তা খারিজ করেছে। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি। আশা করি, সিবিআই তদন্ত শুরু হবে। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে আবেদনের ভিত্তিতে দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে নোটিস পাঠিয়েছিল। তার জেরে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে, তাহলে কি সিবিআই তদন্তে অনুমতি দিতে চলেছে শীর্ষ আদালত। সেই রেশ ধরেই আজ দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন দেবেন্দ্রনাথ রায়ের স্মরণসভা হওয়ার কথা ছিল বিন্দোলের বিএড কলেজে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাই তা কালীবাড়ির কাছে হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের স্মরণসভায় ভিড় উপচে পড়েছিল। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি, বিএড কলেজের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া উচিত। সুত্র : সংবাদ প্রতিদিন এন এ/ ১০ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2XKtu9W
August 10, 2020 at 11:14AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top