ঢাকা, ১৬ আগস্ট- বিএফডিসিতে চলছে নানারকমের সাংগঠনিক অস্থিরতা। প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ- বেকার হয়ে আছেন সিনেমা সংশ্লিষ্ট হাজারো শিল্পী-কুশলী। দর্শকদের পক্ষ থেকে রয়েছে ভালো সিনেমা নির্মাণ না হওয়ার অভিযোগ। অন্যদিকে এমন জটিল পরিস্থিতিতে সবসময় নীরবে থেকে নিজের কাজটি করার নজির রেখে চলেছেন দেশের প্রধান নায়ক শাকিব খান। সংগঠনভিত্তিক সাম্প্রতিক দলাদলিতেও এই নায়কের নীরবতা ছিলো চোখে লাগার মতো। তবে সেই নীরবতা এবার অগ্নুৎপাতের মতো ফুঁড়ে বেরুলো- সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বরাবর। শাকিব খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এফডিসি এখন ভালো নেই। ভালো নেই এখানকার মানুষগুলো। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়তো আজ তার হাতে গড়া এফডিসির এমন অবস্থা দেখতে হতো না। গুটিকয়েক মানুষ কয়েক বছর ধরে এই এফডিসিকে দেশের আপামর মানুষের কাছে বিতর্কিত করে চলছে, প্রকৃত শিল্পীদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করেছে। কর্ম পরিবেশ নষ্ট করে চলছে; যার বিরুদ্ধে গোটা এফডিসির প্রত্যেকটা সংগঠনই এখন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যখনই সিনেমায় সুদিন দেখতে পাই, তখনই গুটিকয়েক মানুষ নানা ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ইন্ডাস্ট্রিকে পিছিয়ে দেয়। এমন কথা এভাবে মুখফুটে সচরাচর শাকিব খানকে বলতে শোনা যায় না। তবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস প্রসঙ্গে নিজের পেইজে লিখতে গিয়ে চলচ্চিত্রকে ঘিরে চলতে থাকা এসব অনিয়ম-অভিযোগের চিত্র তুলে ধরেন শাকিব খান। সেখানে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাই, আপনার বাবা তথা সমগ্র বাঙালি জাতির পিতার হাতে গড়া এই ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নিন। আপনি ছাড়া আর কোনও উপায় দেখছি না। প্লিজ, আপনি শুধু আমাদের কাজের পরিবেশটুকু তৈরি করে দিন, বাকিটা আমরাই তৈরি করে নেব। ১৫ আগস্টকে ঘিরে শাকিব খান এই পোস্টে তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দারুণ একটি তথ্য। তিনি বলেন, আজ ভেবে গর্ব হচ্ছে, প্রয়াত পরিচালক চাষি নজরুল ইসলাম যার নির্দেশনায় আমারও কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। তারই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র সংগ্রাম-এ উপস্থিত হয়েছিলেন আমাদের বঙ্গবন্ধুও। ১৯৭৪ সালে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছিল। এমন একজন মহান নেতা চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন! চলচ্চিত্রের একজন মানুষ হিসেবে এ কথাটি বলতে গিয়ে গর্বে আমার বুক ভরে ওঠে। শাকিব খানের প্রত্যাশা, আজকের (১৫ আগস্ট) এই দিনে বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা, আদর্শ, ন্যায়-নীতি, জীবন, চিন্তা, শিক্ষা ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে যদি আমরা এগিয়ে যেতে পারি। তবেই জাতির পিতার স্বপ্ন সফল হবে বলে মনে করি। আর সেই লক্ষ্যে যদি অটুট থাকা যায় তাহলে বাংলাদেশ অচিরেই একটা সোনার দেশ হয়ে গড়ে উঠবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন এমএ/ ১৬ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/31XOefr
August 16, 2020 at 12:43PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top