কলকাতা, ২২ আগস্ট - বিজেপির গড় হিসেবে পরিচিত ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৫০০ কর্মী-সমর্থকরা ওই দল ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করলেন। চাচোল ২ ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে একসঙ্গে এত কর্মী সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করায় ওই এলাকায় শাসকদলের শক্তি অনেকটা বৃদ্ধি পেল বলে দাবি দলের জেলা নেতৃত্বের। শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্ডী মহেশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় । এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাচল ২ ব্লকের অন্তর্গত মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কো-অর্ডিনেটর তথা প্রাক্তন বিধায়ক রহিম বক্সী, সংশ্লিষ্ট ব্লকের তৃণমূল দলের সভাপতি হাবিবুর রহমান, ক্ষেমপুর অঞ্চল কনভেনার প্রদ্যুৎ সিনহা, সংশ্লিষ্ট এলাকার তৃণমূল যুব নেতা মহম্মদ মিরাজ, চাচল ২ ব্লকের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির প্রতিনিধি অধীর মন্ডল প্রমুখ। আরও পড়ুন: করোনায় থামেনি কাজ, বসিরহাটে সুজলা প্রকল্পের উদ্বোধনে কথা রাখলেন নুসরত! এদিন বিজেপি দলত্যাগ করে প্রায় ৫০০ কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূলে যোগদান করেন। দলত্যাগের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শতাধিক মহিলারাও উপস্থিত হয়েছিলেন। বিজেপি দল ছেড়ে আসা কর্মী-সমর্থকদের গলায় তৃণমূল দলের উত্তরীয় পরে তাদের সম্মান জানানো হয়। বিজেপি দলত্যাগ করে আসা কর্মীদের হাতে তৃণমূলের ঝাণ্ডা তুলে দেন মালতিপুরের কোডিনেটর তথা প্রাক্তন বিধায়ক রহিম বক্সী। এদিন বিজেপি দল ছেড়ে আসা কর্মী বিশ্বম্ভর মন্ডল, রিতা ওরাও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম । কিন্তু আমাদের সামান্য সমস্যাটুকু নিয়ে পাশে দাঁড়ায় নি এলাকার বিজেপি নেতারা। এমনকি চাচোলের বিজেপি দলের সাংসদ খগেন মুর্মু তিনিও এলাকার কর্মী-সমর্থকদের পাশে কোনদিন দাঁড়ান নি। আমরা তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের শামিল হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। তৃণমূল দলের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে আদিবাসী সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য গ্রামীণ এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন করে চলেছেন, তারই অনুপ্রেরণায় এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে যোগদান করেছি। মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল দলের কো-অর্ডিনেটর রহিম বক্সী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি দল করে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার শতাধিক আদিবাসী সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষেরা। সূত্র : কলকাতা২৪ এন এইচ, ২২ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/31kU4si
August 22, 2020 at 01:56PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top