মুম্বাই, ১৯ আগস্ট - যৌনাবেদনময়ী ভারতীয় অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতার জীবন-মৃত্যুর উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি জীবনীমূলক সিনেমা দ্য ডার্টি পিকচার। এ ছবিটি পরিবর্তন করে দিয়েছে বিদ্যা বালনের ক্যারিয়ার। তবে এতো মসৃণ ছিল না খোলামেলা চরিত্রের এই সিনেমায় বিদ্যার অন্তর্ভুক্তি। এই দ্য ডার্টি পিকচার সিনেমায় নিজের অবস্থানের শুরু এবং শেষ নিয়ে ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে সম্প্রতি খোলাখুলি আলোচনা করেছেন বিদ্যা। সেখানে জানিয়েছেন সিল্ক স্মিতা হতে গিয়ে তার ভালো-মন্দ অভিজ্ঞতার কথা। অভিনেত্রী জানান, মিলান লুথ্রিয়ার দ্য ডার্টি পিকচার ছবিতে সাইন করার সঙ্গে সঙ্গেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিলো বিদ্যাকে। ভক্তরা তাকে পাগল বলেও আখ্যা দেওয়া শুরু করে। এমনকি প্রতিবেশী বন্ধুদের কাছে থেকেও শুনতে হয় নানা কথা। বিতর্কিত ও খোলামেলা স্বভাবের অভিনেত্রীর চরিত্রে বিনয়ী-ভদ্র স্বভাবের বিদ্যাকে যেন মানতেই পারছিলেন না কেউ। শুধুমাত্র বাবা-মা কেবল পাশে থাকার হাতটা বাড়িয়েছিলেন তখন। তার বাবা-মা তাকে তার অন্তর্দৃষ্টি অনুসরণ করতে বলেছিলেন। ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে বিদ্যা বলেন, আমার কোনো আপত্তি ছিল না দ্য ডার্টি পিকচার ছবিটি করার বিষয়ে। আমার মনে হচ্ছিলো এই চরিত্রটি আমাকে অনেক কিছুই উপহার দেবে। আমি যখন মিলানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি তখন সে আমার প্রতি তার বিশ্বাসের কথা জানিয়েছিলো। যা আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তার কাজের প্রতি আমার ধারণা আগে থেকেই ছিল। তাই আমি জানতাম এটি কোনো সস্তা কাজ হবে না। এছাড়াও, একতা কাপুর, (প্রযোজক) তিনিও ছিলেন এই সিনেমার সঙ্গে। আমারে ক্যারিয়ারও শুরু হয় তার হাত ধরে। সুতরাং আমি নির্ভার ছিলাম। ওই ছবিতে কাজ করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো চিন্তা মাথায় আসেনি সেই সময়। তবে এমন অনেক লোকেরা ছিলেন যারা আমাকে বলেছিলেন যে তুমি কি পাগল? তুমি কখোনই এই জাতীয় জিনিসগুলি করতে পারবেন না। কিন্তু আমি করে দেখিয়েছি সফলভাবেই। আরও পড়ুন: ভেঙে গেলো কার্তিক-সারার প্রেম! বিদ্যা এ বিষয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে পরামর্শের জন্য গিয়েছিলেন। সেই স্মৃতিচারণ করে তিনি জানান, আমার মনে আছে সেই সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি তাদের জিজ্ঞাসা করেছি আমার কি এটি করা উচিত? বাবা-মা পুরো ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আমার উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। তারা বলেছিল যে, যা ঠিক মনে হয় তা করো। আমি নিজেকে তারপর থেকে যতবারই জিজ্ঞাসা করেছি এই সিনেমাটি কি আমি করবো? প্রতিবারই একটি উত্তর উচ্চস্বরে ভেতর থেকে এসেছে ফিল্মটি করো। তাই আমি এগিয়ে গিয়েছিলাম এবং এটি করেছি। ছবিটি মুক্তির পর বিদ্যা তার বাবার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, সে সবার সামনে হাততালি দিচ্ছিল। আমি যখন এটা জানতে পারলাম তখন মনে হলো এখন গোটাবিশ্ব আমাকে নিয়ে কী ভাববে, তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। বাবার কাছে থেকে এমন আত্মবিশ্বাস পাওয়া মেয়ে হিসেবে আমার কাছে বিষয়টি ছিল অমূল্য! আমি বিশ্বাসী হয়ে উঠলাম এই ছবিটি ভারত জয় করবে। করেছেও। ২০১১ সালে প্রকাশিত দ্য ডার্টি পিকচার ছবিতে বিদ্যার সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন ইমরান হাশমি, তুষার কাপুর এবং নাসিরউদ্দিন শাহ। বিদ্যা তার অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন এই ছবি দিয়েই। ছবিটি বক্স অফিসেও বিশাল সাফল্য অর্জন করেছিল। বিদ্যা আরও জানান, অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতার জীবনকে সিনেমার পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য ছোট ছোট সব পোশাক পরতে হয়েছে বিদ্যাকে। যেভাবে দর্শক কখনোই তাকে অভ্যস্ত নন। বিদ্যাও কখনো এসব পোশাক পরতেন না। তবে ছবির জন্য সেসব পোশাকে পরতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছিলেন বলে জানান তিনি। তার সহশিল্পী হিসেবে নাসিরউদিন শাহ, ইমরান হাশমি ও তুষার খানও দারুণভাবে তাকে সাহস যুগিয়েছিলো। এন এইচ, ১৯ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3g9FXKw
August 19, 2020 at 06:54AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন