ঢাকা, ১১ সেপ্টেম্বর- অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ কাজ করছেন পাপেট নিয়ে। সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে তিনি কথা বললেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এই সময়... করোনার সময়টা নানারকম উপলব্ধির ভেতর দিয়ে কাটল। সৃষ্টিকর্তা মাঝেমধ্যে আমার পরীক্ষা নেন। সেই পরীক্ষাগুলো থেকে আমি নতুন উপলব্ধি লাভ করি। করোনার ভেতর আরও বেশি করে উপলব্ধি করতে পেরেছি জীবনটাকে। প্রকৃতির কাছে আমরা কিছুই না। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কাছে আমরা তুচ্ছ। কিন্তু পাওয়া না পাওয়া নিয়ে আমাদের আফসোসের শেষ নেই। আমরা প্রতিনিয়ত ভুলে যাই যে আমরা এক দিন মরে যাব। আমরা ভাবি, শেষ বয়সে গিয়ে আরাম করব বা বিভিন্ন কাজ করব। কিন্তু এসবের তো কোনো গ্যারান্টি নেই। আল্টিমেটলি আপনি মারা যাওয়ার পর আপনার কাজ কথা বলবে, আপনি মানুষটি কেমন ছিলেন সেই কথা বলবে। করোনার পর অভিনয়... সত্য কথা বলতে কি, আমাকে নিয়ে একটা উড়ো ব্যাপার চলছে। এ কারণে অনেকেই আমাকে নিয়ে কাজ করে না। যদি আমাকে নিষিদ্ধই করা হতো তাহলে চ্যানেল আইয়ের মতো প্রতিষ্ঠান আমাকে নিয়ে কাজ করত না। অনেকেই আমাকে নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন না। সেগুলোর পেছনের কারণ হিসেবে যা অনুমান করি সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। কোনো সংগঠন বা চ্যানেল কিন্তু আমাকে নিষিদ্ধ করেনি। কিন্তু অনেক পরিচালক আমাকে নিয়ে কাজ করতে চান না। কেন তাদের এমন মনোভাব সেটা বুঝতে পারছি না। সৃষ্টিশীল কাজে... সৃষ্টিশীল কাজ ছাড়া বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। আমি অনেক দিন প্যারালাইজড ছিলাম। ইন্ডিয়া থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেই আমি অংশ নিই সিনেমায়। আমার বাচ্চা হওয়ার পরও বেশিদিন ঘরে বসে থাকিনি। কাজে ফিরে গেছি। কারণ আমার পক্ষে সৃষ্টিশীল কাজ ছাড়া থাকা সম্ভব নয়। এবার আমার কাজ খুব কম। সে কারণে আমি বেছে নিয়েছি পাপেটের কাজ। পাপেটের ভেতর নিজেকে ব্যস্ত রাখছি। আমার ভেতরের অভিনেত্রী সত্তাকে জিইয়ে রাখার জন্যই পাপেট করছি। এখন আমাকে কেউ কাজে না ডাকলেও আমার আর কোনো আফসোস থাকছে না। কারণ আমি পাপেটের ভেতর দিয়ে নিজের অভিনয় সত্তাকে তুলে ধরেছি। আমি যখন দেখলাম আমার কাছ থেকে সব দূরে সরে যাচ্ছে, নাটক টেলিফিল্ম, সিনেমা; তখন আমি পাপেট বানানো শুরু করলাম। আরও পড়ুন-করোনার বিরতি ভেঙে নতুন নাটকে সাবিলা পাপেটের গল্প... আমি ছোটবেলা থেকেই কম কথা বলতাম। কিন্তু পাপেট শুরু করার পর দেখলাম, আমারও অনেক কথা আছে। সেসব কথায় আমি পাপেটের ভেতর দিয়ে বলতাম। তো নিজেদের ইচ্ছে মতো কিছু কাজ করার জন্য আমি একটা সংগঠন দাঁড় করালাম। টুগেদার উই ক্যান এর সৃষ্টি হলো। এবার লকডাউনে দেখলাম, আমার মেয়ে আমার গাছপালা এসবই আমার জগৎ। আমি আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতে একসময় দেখলাম, আমার ভেতর একটা মা ভাব চলে এসেছে। দেখলাম, আমার মেয়েও তখন পাপেটের সঙ্গে অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে, সে আর আমার পেছন পেছন মা মা বলে গোঁ ধরছে না। আমার হঠাৎ করেই মনে হলো এ সময়ে এর চেয়ে বড় শক্তি আর নেই। বাসায় যা যা ছিল, সেগুলো জোগাড় করে স্বল্প সামর্থ্য নিয়েই পাপেট বানানো শুরু করলাম। নতুন নতুন কনটেন্ট বানিয়ে ইউটিউবে ছাড়লাম। এরপর থেকে অনেকেই আমাকে পাপেট নিয়ে নানা কাজের প্রস্তাব দেন। ১২ জন সফল নারীর গল্প বলার প্রস্তাব আসে। এ সিরিজে শেখ হাসিনা, সুফিয়া কামালসহ ১২ জন আলোকিত নারীর গল্প পাপেটের মাধ্যমে বলেছি। এ কাজটা করে অনেক প্রশংসা পাচ্ছি। সূত্র: দেশ রূপান্তর এমএ/ ১১ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ZtIvh0
September 11, 2020 at 06:38AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন