ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর- গীতিকবি সংঘ, বাংলাদেশ ও মিউজিক কম্পোজারস অ্যাসোসিয়েশনের পর এবার ঐক্যবদ্ধ হলেন দেশের কণ্ঠশিল্পীরা। দুই মাসের নানা প্রস্তুতি শেষে আজ (৮ সেপ্টেম্বর) ঐকমত্য পোষণ বিবৃতি দিয়েছেন তারা। কণ্ঠশিল্পী পরিষদ, বাংলাদেশ নামের এ সংগঠনের ঘোষণা এসেছে তাদের তরফ থেকে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ ও নন্দিত গায়ক হাসান আবেদুর রেজা জুয়েল। এতে উপদেষ্টামণ্ডলীতে আছেন দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী খুরশীদ আলম, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, রফিকুল আলম, ফকির আলমগীর, লিনু বিল্লাহ, শাহীন সামাদ, পাপিয়া সারোয়ার, ফেরদৌস আরা, তপন মাহমুদ, ফাতেমা তুজ জোহরা, আবিদা সুলতানা ও ইয়াকুব আলী খান। এ প্রসঙ্গে সংগঠনটির নবনিযুক্ত আহ্বায়ক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, বাংলা গানের রয়েছে এক অভূতপূর্ব ক্ষমতা ও ঐতিহ্য। সংস্কৃতির সকল ধারার মধ্যে গান মুহূর্তেই ছুঁয়ে যেতে পারে কোটি হৃদয়, জাগিয়ে তুলতে পারে চেতনা। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম, স্বাধীনতাসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে উদ্দীপনা যুগিয়েছে সংগীত, গান। ২০২১ এ পালিত হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ দীর্ঘ ৫০ বছরেও অবহেলিত সংগীতাঙ্গনের মানুষদের জন্য কোনও সুষ্ঠু রূপকল্প বা নীতিমালা তৈরি করা যায়নি। সংস্কৃতির অন্য সব ধারায় আছে শক্তিশালী সংগঠন, ঐক্য। তারা সাংগঠনিকভাবে নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায় করতে পারেন। আজ কণ্ঠশিল্পী সংস্থা বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে এক বৃহৎ ঐক্যের দুয়ার খুলে গেল। সময়ের প্রতিকূলতার কারণে অনেকের সাথেই যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। আমরা এজন্যে কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠশিল্পীদের অন্তর্ভুক্তি উন্মুক্ত রেখেছি। আরও পড়ুন-সুশান্তের দিদির দেওয়া ওষুধ খাওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই মৃত্যু! যুগ্ম আহ্বায়ক কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, করোনাকালে বছরের প্রায় অর্ধেক সময় কর্মহীন পার করে হাঁপিয়ে উঠেছেন শিল্পীসমাজ। কণ্ঠশিল্পীদের আয়ের প্রধান মাধ্যম স্টেজ। আর সেটা আজ বন্ধ। এ বাস্তবতা সংঘবদ্ধভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। একথা সত্য আমাদের দেশের বরেণ্য শিল্পীরা গানকে ভালোবেসে সৃষ্টিতেই মগ্ন থাকেন। তারা অর্থের দিকে কখনোই ধাবিত হন নাই। কিন্তু নিজের সৃষ্টির প্রাপ্য অন্যের ঘরে দীর্ঘদিন ধরে চলে যাওয়ায় তা বন্ধে ঐক্যের প্রয়োজন। একজন সৃষ্টিশীল মানুষের সৃষ্টি তার এবং তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে একমাত্র সম্পদ। তা সংরক্ষণে আমরা বদ্ধপরিকর। শিল্পীরা চান, তাদের সৃষ্টির যোগ্যতা নিয়ে স্বাবলম্বী হতে। এই স্বপ্নকে সামনে রেখে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশের অগ্রজ এবং নবীন প্রগতিশীল কণ্ঠশিল্পীদের সংগঠিত করে আমরা সজ্ঞানে, সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে কণ্ঠশিল্পী পরিষদ বাংলাদেশ গঠন করতে পারায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। নতুন এ সংগঠনের ২৩ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে আছেন- ফাতেমা তুজ জোহরা, আবিদা সুলতানা, সাদি মহম্মদ, কিরণ চন্দ্র রায়, তপন চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, রুমানা মোরশেদ কনকচাঁপা, আসিফ আকবর, অদিতি মহসিন, খায়রুল আনাম শাকিল, শফি মণ্ডল, রবি চৌধুরী, এস আই টুটুল, আগুন, আঁখি আলমগীর, চন্দন সিনহা, দিনাত জাহান মুন্নী, অনিমা রায়, প্রিয়াংকা গোপ, মঈদুল ইসলাম খান শুভ, জয় শাহরিয়ার, কিশোর দাস, সোমনুর মনির কোনাল, ইলিয়াস হোসাইন। উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই সংঘবদ্ধ হয়ে চমক দেখায় দেশের সিংহভাগ গীতিকবি। তৈরি করেন গীতিকবি সংঘ নামের একটি সংগঠনের। এর পরপরই আত্মপ্রকাশে আসে মিউজিক কম্পোজারস অ্যাসোসিয়েশন। সংগীতের প্রধানতম কারিগরদের পর এবার ঘোষণা এলো কণ্ঠশিল্পীদের সংগঠনের। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন আডি/ ০৮ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3jTOx2k
September 08, 2020 at 12:00PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top