সিঙ্গাপুর সিটি, ২০ সেপ্টেম্বর- কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেছে জাকির হোসেন খোকন তার ঘরের বাইরে যেতে পারেননি। ঘরটিতে ১১ জনের সঙ্গে থাকেন তিনি। ঘরটিতে লোহার তৈরি ছয়টি বাঙ্ক বেড ছাড়া তেমন কিছুই নেই। প্রত্যেকটি বেডের সামনে কাপড় আর বেমানান তোয়ালে ঝুলিয়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার জন্য আড়াল তৈরি করা হয়েছে। দিন রাত আমরা এই একটা ঘরের ভেতরেই থাকি। এটা আসলে আমাদের ওপর মানসিক নির্যাতন। এটা জেলখানার মতো। ঘরের ভেতরে জায়গা না থাকার কারণে আমরা সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখতে পারি না। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশি জাকির হোসেন। সেরে ওঠার পর কাজেও ফিরে গেছেন। তিনি ভেবেছিলেন তার খারাপ দিনগুলো চলে গেছে। তিনি যে ডরমেটরিতে থাকেন সেটাও জুনে ভাইরাসমুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু অগাস্ট মাসে সেখানে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দিলে হাজারও অভিবাসী শ্রমিকের মতো তাকেও আবার কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গৃহীত ব্যবস্থার জন্য এক সময় সিঙ্গাপুরের প্রশংসা করা হয়েছিল। কিন্তু ভাইরাসটি যখন বিদেশি অভিবাসীদের ডরমেটরিতে গিয়ে পৌঁছায় তখন এ বিষয়ে দেশটির সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, সিঙ্গাপুরে যে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে সেটা আগে থেকেই বোঝা উচিত ছিল। কয়েক মাস ধরে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় কমিউনিটিতে প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হচ্ছে। লোকজন কাজে ফিরে যাচ্ছে, সিনেমা খুলে দেওয়া হয়েছে, রেস্তোরাঁগুলো থেকে আবার মানুষের হাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সিঙ্গাপুরে যারা অল্প আয়ের মানুষ তাদেরকে ঘরের ভেতরেই থাকতে হচ্ছে। তারা এখন এক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয় জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে। ওই ব্যক্তি দেশের বাইরে থেকে এসেছিলেন। এর কয়েক সপ্তাহ পর আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। সে সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা লোকজনকে খুঁজে বের করতে ব্যাপক কন্টাক্ট ট্রেসিং কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সারা দেশে চালু করা হয় করোনাভাইরাস ট্রেসিং অ্যাপ। এ বিষয়ে লোকজনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগও বাড়ানো হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারি বিশেষজ্ঞরা সিঙ্গাপুরের গৃহীত এই পদ্ধতির প্রশংসা করেন। এই পদ্ধতিকে তারা সর্বোচ্চ মানের নিখুঁত শনাক্তকরণ বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু দেশটিতে ইতোমধ্যে একটি সঙ্কট তৈরি হচ্ছিল যা বেশিরভাগ মানুষই দেখতে পায়নি। সিঙ্গাপুরে তিন লাখেরও বেশি অল্প আয়ের বিদেশি শ্রমিক কাজ করেন। তারা সেখানে গেছেন ভারত ও বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে। তাদের বেশিরভাগই কাজ করেন নির্মাণ ও উৎপাদন শিল্পে। এসব শ্রমিকের সিঙ্গাপুরে থাকার বিষয়টি নির্ভর করে তাদের চাকরির ওপর। চাকরিদাতার পক্ষ থেকে অর্থের বিনিময়ে তাদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়। ভিড়ে ঠাসা গাড়িতে করে তারা তাদের ডরমেটরি থেকে কাজের জায়গায় যাতায়াত করেন। অন্যান্য ডরমেটরি থেকে আসা শ্রমিকদের সঙ্গে তারা একত্রে বিশ্রাম নেন যা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য খুবই উপযোগী এক পরিস্থিতি। একটি ডরমেটরিতে সর্বোচ্চ কতজন থাকতে পারবেন আইনে তার কোন সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে কোভিড মহামারির আগে সাধারণত ২০ জনেরও বেশি শ্রমিক ডরমিটরির একটি কক্ষে একত্রে থাকতেন। মার্চ মাসের শেষের দিকে অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি গ্রুপ ট্রানসিয়েন্ট ওয়ার্কার্স কাউন্ট টু সতর্ক করে দিয়েছিল যে এসব অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে যে নতুন করে ক্লাস্টার সংক্রমণের ঘটনা ঘটবে না সেটা অস্বীকার করা যায় না। সিঙ্গাপুরে আংশিকভাবে জাতীয় লকডাউন জারি করার কয়েক সপ্তাহ পর সাধারণ লোকজনের মধ্যে সংক্রমণ পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এর মধ্যে অধিকার আন্দোলনের কর্মীদের আশঙ্কা সত্যি হয়। প্রতিদিন কয়েক শ শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হতে থাকেন। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে সরকার প্রতিদিন আলাদা আলাদা করে দুই ধরনের পরিসংখ্যান তুলে ধরতে শুরু করে। এগুলো হচ্ছে স্থানীয় কমিউনিটিতে ও ডরমেটরিতে শনাক্ত হওয়া লোকের সংখ্যা। এসব পরিসংখ্যানে দেখা যায়, কমিউনিটিতে ও ডরমেটরিতে আক্রান্ত লোকের সংখ্যায় কত তারতম্য- ডরমেটরিতে প্রচুর সংখ্যক লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও কমিউনিটিতে এই সংক্রমণের হার ছিল খুবই কম। নিউজিল্যান্ডের ম্যাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বিষয়ের অধ্যাপক মোহন দত্ত বলেছেন, অন্য যে কোনো মহামারির মতো কোভিড-১৯ মহামারিও অসাম্যের। সিঙ্গাপুরে ভিন্ন ভিন্ন দুই ধরনের সংখ্যা তুলে ধরা হচ্ছে। এর ফলে এই বৈষম্য আরো প্রকট হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ বিদেশি শ্রমিকদের ডরমিটরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খাতে কাজ করেন এ রকম ১০,০০০ স্বাস্থ্যবান কর্মীকে আলাদা করে ফেলা হয় যাতে দেশটির কাজ কর্ম স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে। তবে গণহারে পরীক্ষা চালানোর সময় বেশিরভাগ শ্রমিক ডরমেটরিতে আটকা পড়েন। কাউকে কাউকে তাদের ঘর থেকেও বের হতে দেওয়া হয়নি। আক্রান্ত কর্মীদের ধীরে ধীরে সরিয়ে নেওয়া হয়, সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। লকডাউনের সময় সারা দেশের অভিজ্ঞতা থেকে এসব ডরমেটরির চিত্র একেবারেই ভিন্ন। সারা দেশে দোকানপাট খোলা ছিল, প্রাত্যহিক শরীর চর্চাকে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং সব ধরনের আউটলেট থেকে পণ্য ও সেবা সরবরাহ অব্যাহত ছিল। কিন্তু এই বিদেশি শ্রমিকদের রাখা হয়েছিল লকডাউনে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় খাবারটুকুও দেওয়া হয়নি। যখন লকডাউন জারি করা হলো, আমাদেরকে ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হলো না। আমরা পাশের ঘরেও যেতে পারতাম না, বলেন ভাইথ্যানাথান রাজা, দক্ষিণ ভারত থেকে যাওয়া একজন শ্রমিক। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই এসব ডরমেটরির ওপর দৃষ্টি পড়ে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য নতুন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এগুলোর জন্য দানের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং যারা এসব ডরমেটরি পরিচালনা করেন তারা এগুলোর অবস্থা উন্নত করার উদ্যোগ নেন। মহালিঙ্গম ভেটরিসেলভান ৫১ বছর বয়সী একজন ভারতীয় শ্রমিক। তিনি বলেন, তাদের ডরমেটরিতে যেসব ব্যবস্থা আছে সেগুলো ঠিকই আছে। আগে ঠাসা ঠাসি করে কিছু বাঙ্ক বেড রাখা ছিল। এখন সেগুলো সরিয়ে সিঙ্গেল খাট পাতা হয়েছে। একটা খাট থেকে দুরত্বও এখন বেশি, বলেন তিনি। আরেকজন বিদেশি শ্রমিক তার ঘরের একই ধরনের কিছু ছবি পাঠিয়েছেন যেখানে সব নতুন করে সাজানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, বেডের সংখ্যা ১৫ থেকে কমিয়ে এখন আটটি করা হয়েছে। আরেকজন শ্রমিক বিবিসিকে বলেছেন তিনি ভাগ্যবান যে তার চাকরিদাতা তাকে একটি হোটেলে সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যাওয়া জাকিরের বেলায় এমনটা ঘটেনি। নির্মাণ-শিল্পের একটি প্রকল্পে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেন তিনি। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে তাকে একটি অস্থায়ী আবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সুস্থ হয়ে ওঠার পর আবার তাকে তার ডরমেটরিতে ফিরিয়ে আনা হয়। আমি ডরমেটরি ছেড়ে যাই ১৭ই এপ্রিল এবং যখন আমি ৯ জুলাই ফিরে আসি, এর মধ্যে আমি কোনো উন্নতি দেখিনি। জাকির জানান, ছয় মিটার বাই সাত মিটারের একটি ঘরে তারা ১২ জন থাকেন। তারা আমাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলে, কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয় এটা একটা কৌতুক, বলেন জাকির। ছোট্ট একটি ঘরের ভেতরে আমরা কীভাবে দূরত্ব বজায় রাখব? প্রত্যেক তলায় আছে এ ধরনের ১৫টি করে ঘর। প্রত্যেকটি ঘর যদি লোকে ভর্তি থাকে তাহলে একেকটি ফ্লোরে ১৮০ জনের মতো থাকার কথা। তারা সবাই একই টয়লেট ব্যবহার করেন যাতে আছে ছয়টি বেসিন, গোসলখানা, পায়খানা এবং প্রস্রাব করার স্থান, জানান জাকির। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে প্রতি ১৫টি বেডের জন্য একটি করে টয়লেট, গোসলখানা ও সিঙ্কের ব্যবস্থা থাকার কথা। তারা আমাদেরকে এগুলো পরিষ্কার রাখতে বলে কিন্তু এজন্য সেখানে কোনো সাবান নেই। এসব বিষয়ে বক্তব্যের জন্য বিবিসি ডরমিটরি পরিচালনাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাদের কাছ থেকে কিছু শোনা যায়নি। অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থা ইটস রেইনিং রেইনকোটসের প্রতিষ্ঠাতা দিপা সোয়ামিনাথান বলেন, অনেক শ্রমিকই এ ধরনের পরিস্থিতিতে বহু বছর ধরেই বসবাস করছেন। এখন আমরা যেসব বিষয়ে কথা বলছি- তাদের থাকার জায়গা, তাদের খাবার- এগুলোর অবস্থা বহু বছর ধরেই এরকম। এতদিন এসব বিষয়ে শোনা যায়নি কারণ তারা কেউ অভিযোগ করেন না। সিঙ্গাপুরে তাদের যা আছে সেসব নিয়েই তারা সন্তুষ্ট। তারা যদি কোন চাপে পড়েন তাহলে তারা সত্যিই একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন। করোনাভাইরাস মহামারি শ্রমিকদের ওপর যে চাপ তৈরি করেছে তার ফলে অনেক দুঃখজনক ঘটনাও ঘটে গেছে। অনেকে আত্মহত্যা, মৃত্যু কিংবা নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন বলেও জানা গেছে। ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একজন শ্রমিক ডরমেটরির জানালার কিনারে দাঁড়িয়ে আছেন। তার সঙ্গে যারা থাকেন এক পর্যায়ে তারা তাকে ঘরের ভেতরে টেনে ধরেছেন। জাকির বলেন, আমার ডরমেটরির কেউ কেউ তাদের পরিবারকে ফোন করে বলেন যে তারা আর পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে পারছেন না। তারা কাঁদে আর বলে যে তারা বাড়িতে ফিরে যেতে চায়। বেতনের বিষয়টিও তাদের জন্য মানসিক চাপ তৈরি করে। কারণ দেশের বাড়িতে তাদের পরিবার তাদের আয়ের ওপর নির্ভরশীল। বাইরে যেতে পারি না বলে আমরা টাকা পাঠাতে পারি না। অনেক শ্রমিক তাদের নিয়মিত বেতনও পায়নি বলেন জাকির। সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রী বিবিসিকে বলেছেন, বিদেশি যেসব শ্রমিক পূর্ণকালীন কাজ করেন তাদের বেতন পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু যারা কাজ করতে পারেননি তাদেরকে বেতন দিতে বলা অযৌক্তিক হবে। তিনি বলেন, চাকরিদাতাদের উচিত হবে তারা যাতে বেতন দিতে পারেন সেজন্য পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে একটি উপযুক্ত ব্যবস্থায় পৌঁছানো। সিঙ্গাপুর সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের অবস্থা আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকার বলছে, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ প্রত্যেক বাসিন্দাকে থাকার জন্য অন্তত ছয় বর্গমিটার করে জায়গা দেওয়া হবে। একেকটি ঘরে থাকবে সর্বোচ্চ ১০টি বেড এবং অন্তত এক মিটার দূরে দূরে বেডগুলো রাখতে হবে। অধ্যাপক দত্ত বলছেন, ডরমেটরির পরিস্থিতি কেন এতো খারাপ অবস্থায় যেতে দেওয়া হলো এখন সেটাই প্রশ্ন: মহামারির আগেই অনেক সংস্থার পক্ষ থেকে এসব মৌলিক সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী লী সিয়েন লং এসব ডরমেটরির ঝুঁকির বিষয়ে যে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সে কথা স্বীকার করেছেন। এ মাসের শুরুর দিতে পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, আমরা আগাম সতর্কতা বাড়িয়েছিলাম। একটা সময় পর্যন্ত সেগুলো পর্যাপ্ত মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে ডরমেটরিতে প্রচুর সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলো যা আমাদের সকলের জন্য ঝুঁকি তৈরি করলো। আরও পড়ুন- সিঙ্গাপুরে প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন কুমিল্লার কবির এর অল্প কিছু দিন আগে তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। নির্বাচনে অভিবাসীদের বিষয়ে খুব কমই আলোচনা হয়েছে। ভুল পদক্ষেপ নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও শেষে তিনি বলেছেন: যুদ্ধাবস্থাতে সবসময় তো সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না। গত মাসে সরকার ঘোষণা করে যে ডরমেটরিতে যারা থাকেন তারা সবাই সুস্থ অথবা করোনাভাইরাসমুক্ত। কিন্তু ঠিক কয়েক সপ্তাহ পর কয়েকটি ডরমেটরিতে আবারও বেশ কিছু সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশি শ্রমিক জাকির হোসেন জানেন না যে তিনি কবে ঘর থেকে বের হতে পারবেন। কিন্তু তার একমাত্র আশা কাজে ফিরে যাওয়া এবং সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি হওয়া। আমাদের অনেকেই এখানে দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করছে। আমি আছি ১৭ বছর ধরে। আমরা যেন এই সিঙ্গাপুরেরই একটা অংশ হয়ে গেছি, বলেন তিনি। আমরা বলছি না আমাদের সঙ্গে একজন নাগরিকের মতো আচরণ করো। একটা মানুষের সঙ্গে যে রকম আচরণ করা উচিত শুধু সেটুকুই করো- আমরা তো এই সমাজেরই অংশ। এটুকু করলেই চলবে সূত্র: গোনিউজ২৪ আডি/ ২০ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/32MspBh
September 20, 2020 at 05:02PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন