মুম্বাই, ০৯ সেপ্টেম্বর- কঙ্গনা রনৌত আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন, জন্মশহর মানালি থেকে ৯ সেপ্টেম্বর মুম্বাই ফিরবেন। টুইটারে বড় গলায় এমনটিও বলেছিলেন, মুম্বাই ফিরছি, কারও বাবার সাহস থাকলে আটকাও। মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঠিকই আজ পা রাখলেন কুইন তারকা। তার সঙ্গে ছিলেন বোন ও ম্যানেজার রঙ্গোলি চান্ডেল। কঙ্গনা যেন নির্বিঘ্নে বিমানবন্দর থেকে বের হতে পারেন, সেজন্য ছিল কড়া নিরাপত্তা। কিন্তু বিশৃঙ্খলা ঠিকই বেঁধে গেছে। তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছাতেই তার পক্ষে-বিপক্ষে স্লোগান ওঠে। মুম্বাইকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিয়েছেন কঙ্গনা। এ কারণে বিমানবন্দরের বাইরে কালো পতাকা নিয়ে অবস্থান নেয় শিবসেনার বিপুলসংখ্যক কর্মী। তবে তাকে সমর্থন জানাতে সমবেত হয়েছিলেন বিজেপি ও কার্নি সেনা কর্মীরা। সবাই মাস্ক ব্যবহার করলেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে কিছুদিন আগে কঙ্গনা মন্তব্য করেন, মাফিয়াদের চেয়েও মুম্বাই পুলিশ ভয়ঙ্কর! কখনোই তাদের দ্বারস্থ হতে চান না তিনি। একইভাবে মুম্বাইকে মোটেও নিরাপদ মনে করেন না কুইন অভিনেত্রী। মুম্বাই পুলিশকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্যের কারণে কঙ্গনাকে আর মুম্বাইয়ে ফিরে না আসার অনুরোধ জানান শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। আরও পড়ুন-অবশেষে রিয়া চক্রবর্তী গ্রেফতার কঙ্গনার অভিযোগ, তাকে মুম্বাই না ফিরতে শিবসেনা নেতা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে বয়ে যাচ্ছে ঝড় আর তর্কবিতর্ক। তার পাশে দাঁড়ানোর কারণে বিজেপির সমালোচনা করছেন শিবসেনা নেতারা। এদিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় পালি হিলে কঙ্গনার অফিসের একাংশ বেআইনি দাবি করে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল বৃহানমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (বিএমসি)। তবে উচ্চ আদালত এই উচ্ছেদ কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। নাগরিক সমাজকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার মধ্যে কঙ্গনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফাইল জমা দিতে বলা হয়েছে। বিতর্ক যেন ছায়ার মতো লেগে আছে কঙ্গনার পাশে। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে বলিউডে মাদকের বেড়াজাল সামনে এসেছে। তার দাবি, হিন্দি ছবির শতকরা ৯৯ ভাগ তারকা মাদকাসক্ত। এরপর ৩৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধেও মাদকসেবনের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে মুম্বাই পুলিশের মাদক দমন সেল তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। কঙ্গনার সাবেক প্রেমিক অধ্যয়ন সুমন এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ তোলেন, কঙ্গনা মাদক নেন। অধ্যয়নকেও মাদক নিতে নাকি তিনি জোর করেছিলেন। মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় প্রসঙ্গটি উঠলে কঙ্গনার মাদকসেবনের অভিযোগ তদন্তের আবেদন জানান শিবসেনার দুই বিধায়ক সুনীল প্রভু ও প্রতাপ সরনায়ক। আরও পড়ুন-অবশেষে রিয়া চক্রবর্তী গ্রেফতার এসব ঘটনায় কঙ্গনা টুইটারে লেখেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত হোক। আমার ড্রাগ টেস্ট করানো হোক। কোনও মাদক পাচারকারীর সঙ্গে আমার যোগসূত্র পাওয়া গেলে সব অপরাধ স্বীকার করে চিরতরে মুম্বাই ছেড়ে চলে যাবো। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া আডি/ ০৯ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/35jfBEf
September 09, 2020 at 03:09PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন