ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর- শুরু করেছিলেন সেই প্রায় দুই মাস আগে। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে নিজের মত করে অনুশীলন শুরু করেছেন দেড় মাসের বেশি সময়। কিন্তু হঠাৎই ভেন্যু পাল্টে খুলনা থেকে ঢাকা চলে এসেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। শুধু আসেনইনি, এখন শেরে বাংলার সেন্টার উইকেটে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুমিনুল হক, লিটন দাস, সৌম্য সরকারদের বিপক্ষে নিয়মিত বোলিংও করছেন দেশের অন্যতম সেরা অফ স্পিনার। আর সেই প্রতিষ্ঠিত ও দেশসেরা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং করাকে আবার নিজের ছন্দ ফিরে পাবার কার্যকর দাওয়াই বলে মনে করছেন মিরাজ। দীর্ঘ দিন পর বোলিং, দিনক্ষণ ও মাসের হিসেবে ৫-৬ মাসের দীর্ঘ বিরতি। অন্যরকম ভাললাগা। মিরাজের স্বীকারোক্তি, অনেকদিন পর বোলিং শুরু করেছি মিরপুরে, বিশেষ করে ৫-৬ মাস পর এখানে বোলিং করেছি। তিন চারদিন হল এখানে বোলিং করছি, ভালো লাগছে; কিন্তু অনেকদিন পরে শুরু করায় নিয়ন্ত্রণ থাকছে না, অস্বস্তি লাগছে। তারপরও মনে করি যতটুক সম্ভব নিজেকে ফিট করে তাড়াতাড়ি মাঠে ফেরাতে। এদিকে দীর্ঘ সময় পর দেশের সব নামী, তারকা ও সেরা উইলোবাজদের বিপক্ষে বোলিং করার অর্থ নিজের হারানো বোলিং ছন্দ ফিরে পাওয়া, অনেকদিন পর সবাইকে বোলিং করেছি। সব ব্যাটসম্যানকেই মোটামুটি বল করেছি। অনেক দিন পর দেশ সেরা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং করে ছন্দ ফিরে পাওয়া কঠিন। সে কথা স্বীকার করে মিরাজ বলেন, শুরুর দিকে আমার নিজের কাছে অস্বস্তি লেগেছে, ভাল বল হয়নি; কিন্তু আজকে যে রকম বোলিং করে একটু ভালো অনুভব করছি। ব্যাটসম্যান যারা আছে তারাও অনেকদিন মাঠে নেমেছে, তারাও অনেক ভালো খেলছে। বিশেষ করে আমি যদি আরেকটু ভালো বল করি, তাহলে আরও ভালো হবে। আসলে সবাই দ্রুত নিজের জায়গাটায় ফিরে আসতে চেষ্টা করছে। আশা করি সব ব্যাটসম্যান, বোলাররা খুব তাড়াতাড়ি নিজের জায়গায় ফিরে আসবে। খুলনায় বোলিং করলেও দ্বিধা ছিল। বোলিংটা ঠিক হচ্ছে কি না? এর আগে খুলনাতে বোলিং করেছি, অনুশীলন করেছি, মিরপুরে বেশ কয়েকদিন হল শুরু করেছি। একটু হেজিটেশনে আছি, বোলিং হয়তো ভালো হচ্ছে না, যেটা আমি চাচ্ছি। চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব আমার নিজের জায়গায় বোলিংটা আনার জন্য। মানছেন দেশের বাইরে স্পিনারদের বোলিংটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। মিরাজের অনুভব, বিদেশের মাটিতে আমাদের স্পিনারদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকে, বিশেষ করে আমার জন্য বেশি থাকে। আমি মনে করি, বিদেশের মাটিতে ইকোনোমি আর লাইন লেংথ গুরুত্বপূর্ণ। ওখানে সফল হতে হলে লাইন লেংথে জোর দিতে হয় এবং ভালো জায়গায় টানা বল করতে হয়, উইকেট থেকে সাহায্য পাওয়া যায় না। আমাদের দেশের উইকেটে যতটা সাহায্য থাকে, বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশের উইকেটে যতটা সাহায্য থাকে বাইরের কন্ডিশনে অতটা থাকে না। স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরির সাথে আলাপ করে দেশের বাইরে ভাল করার কৌশল জানতে বেশ আগ্রহী মিরাজ। তিনি বলেন, তারপরও যতটুকু সম্ভব অনুশীলন করে, ঘাটতির জায়গা নিয়ে কাজ করছি। দেশের বাইরে কীভাবে কি করলে ভালো হয়, বিশেষ করে আমাদের যে বিদেশি কোচ আছে ড্যানিয়েল ভেট্টরি, ওর সাথেও কথা বলেছি। তিনি আমাদের বিশেষ টিপস দিয়েছেন। কিভাবে কি করলে ভালো হবে, আমাদের নিয়ে কাজও করেছে। আশা করি সামনের দিনগুলোতে ওর সাথে কাজ করতে পারবো। ভালো ভালো থিওরি দিতে পারবে যে কিভাবে করলে ভালো হয়। আরও পড়ুন- শ্রীলংকা সফর নিয়ে কঠিন শর্ত দীর্ঘদিন পর বোলিং করতে এসে এখন মিরাজের একটাই লক্ষ্য দ্রুত আগের জায়গায় ফিরে আসা। তিনি বলেন, অনেকদিন পর সবাইকে বোলিং করেছি। সব ব্যাটসম্যানকেই মোটামুটি বল করেছি। আমার নিজের কাছেই অস্বস্তি লেগেছে, ভাল বল হয়নি; কিন্তু আজকে যে রকম বোলিং করে একটু ভালো অনুভব করছি। ব্যাটসম্যান যারা আছে তারাও অনেকদিন মাঠে নেমেছে, তারাও অনেক ভালো খেলছে। বিশেষ করে আমি যদি আরেকটু ভালো বল করি তাহলে আরও ভালো হবে। আসলে সবাই দ্রুত নিজের জায়গাটায় ফিরে আসতে চেষ্টা করছে। আশা করি সব ব্যাটসম্যান, বোলাররা খুব তাড়াতাড়ি নিজের জায়গায় ফিরে আসবে। সূত্র: জাগো নিউজ আডি/ ১৩ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2RnkHas
September 13, 2020 at 03:42PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top