আবুধাবি, ০৪ অক্টোবর- ফের আরও একবার হাইস্কোরিং ম্যাচের সাক্ষী থাকল ঐতিহাসিক শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম৷ তবে এবার রান তাড়া করতে নেমে দুশো রান তুলতে পারল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ৷ তাদের ৩৪ রানে হারিয়ে ফের একবার পয়েন্ট তালিকায় এক নম্বরে উঠে এল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স৷ ২০৯ রান তাড়া করতে নেমে সাত উইকেটে ১৭৪ রান থেমে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ৷ এর ফলে পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে হেরে পয়েন্ট তালিকায় ছনম্বরে নেমে গেল ওয়ার্নার অ্যান্ড কোং৷ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি সানরাইজার্সের৷ ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো ওপেনিং জুটিতে ৪ ওভারে ৩৪ রান তোলে৷ বেয়ারস্টো ১৫ বল ২৫ রান করে আউট হওয়ার পর ইনিংসের হাল ধরেন ক্যাপ্টেন ওয়ার্নার৷ ক্যা্প্টেনকে সঙ্গ দেন মনীশ পান্ডে৷ কিন্তু তিনিও ১৯ বলে ৩০ রান করে আউট হওয়ার পর লড়াই চালিয়ে যান ওয়ার্নার৷ কেন উইলিয়ামসন ও প্রিয়ম গর্গকে দ্রুত ডাগ-আউটে ফেরত পাঠিয়ে ওয়ার্নারের উপর আরও চাপ বাড়িয়ে দেন মুম্বই বোলাররা৷ জেমস প্যাটিনসন ওয়ার্নারকে তুল নেওয়ার পর ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় মুম্বই৷ ৪৪ বলে ৬০ রান করে ডাগ-আউটে ফেরেন ওয়ার্নার৷ এরপর আর সানরাইজার্সকে ম্যাচ ফিরতে দেয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বোলাররা৷ আবদুল সামাদ ৯ বলে ২০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেও তা যথেষ্ট ছিল না৷ আরসিবি-র কাছে সুপার ওভারে হারের পর কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে ফের লিগ টেবলে এক নম্বরে উঠে এল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স৷ এদিন দারুণ বোলিং করেন রোহিতের দলের বোলাররা৷ ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ট্রেন্ট বোল্ট৷ ৪ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন প্যাটিনসন৷ আরও পড়ুন: তিন দলের ওয়ানডে সিরিজে নেই মাশরাফি এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ২০৮ রান তুলেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স৷ রোহিত ব্যর্থ হলও কুইন্টন ডিককের হাফ-সেঞ্চুরি এবং কাইরন পোলার্ড ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার ঝোড়ো ইনিংসের সাহায্যে হায়দরাবাদের সামনে বড় রানের টার্গেট রাখে তারা৷ শেষ ওভারে ক্রুনাল পান্ডিয়ার ৪ বলে ২০ রানের ইনিংসকে মুম্বইকে ২০০ রানের গণ্ডি টপকাতে সাহায্য করে৷ শেষ পাঁচ ওভারে ৬১ রান তুলেছিল মুম্বই৷ তবে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বইয়ের৷ ম্যাচের প্রথম ওভারেই রোহিতকে ডাগ-আউটে ফেরত পাঠিয়েছিলেন সন্দীপ শর্মা৷ ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন মুম্বই অধিনায়ক৷ রোহিত অল্প রানে আউট হলেও প্রথম তিন ম্যাচে রান না-পাওয়া মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অন্য ওপেনার ডিকক দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরি করে দলকে মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন৷ ৩৯ বলে চারটি ওভার বাউন্ডারি ও ও চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি৷ ডিককের পাশাপাশি ফর্মে থাকা সূর্যকুমার যাদব এবং ইশান কিষান দ্রুত রান তুলে দলকে বড় রানের রাস্তা করে দেন৷ সূর্যকুমার ১৮ বলে হাফ-ডজন বাউন্ডারির সাহয্যে ২৭ রান করেন৷আর আগের ম্যাচে ৯৯ রান করা ইশান এদিন ২৩ বলে ৩১ রান করেন৷ সূত্র : কলকাতা ২৪x৭ এম এন / ০৪ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2F2NONC
October 04, 2020 at 04:51PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন