ঢাকা, ৫ অক্টোবর- একে অপরকে ভালোবেসে প্রেম, পরে বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন নব্বই দশকের সেরা জুটি শাবনাজ-নাঈম। টানা অভিনয় করতে গিয়ে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের। অল্প সময়ের মধ্যে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর দুজনই অভিনয় থেকে দূরে সরে দাঁড়ান। ৫ অক্টোবর নাঈম ও শাবনাজ দম্পতির ২৬ বছর পূর্ণ হয়েছে। ১৯৯৪ সালের এই দিনে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সিনেমার পর্দায় যেমন তারা নিজেদের ভালোবাসা সফল করেছেন, আঁকড়ে ছিলেন; বাস্তব জীবনেও তাই করলেন। শোবিজ দুনিয়ার অন্যতম সফল দম্পতি হিসেবে তারা এখনো সুখে সংসার করে যাচ্ছেন। ১৯৯১ সালের ৪ অক্টোবর এহতেশাম পরিচালিত চাঁদনী সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দেশীয় চলচ্চিত্রে নাঈম-শাবনাজ জুটির অভিষেক হয়। শুরুতেই বাজিমাৎ করেন তারা। ঢালিউডে নতুন রোম্যান্টিক জুটি হিসেবে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন। এরপর একে একে এই জুটি দর্শককে উপহার দেন দিল, সোনিয়া, চোখে চোখে, বিষের বাঁশি, অনুতপ্ত, টাকার অহংকার, সাক্ষাৎ, জিদসহ আরও বেশকিছু চলচ্চিত্র। সর্বশেষ ঘরে ঘরে যুদ্ধ চলচ্চিত্রে জুটি হয়ে অভিনয় করেছিলেন নাঈম-শাবনাজ। বিয়ের গল্পটা কেমন ছিল? শাবনাজ বলেন, সিলেটে আমরা একটি ছবির শুটিং করছিলাম। শট দেওয়ার পর সুন্দর একটি জায়গায় বসে আছি। এমন সময় নাঈম আমাকে প্রপোজ করে। কথা শুনে আমি অনেক লজ্জা পাই। সিনেমায় আমরা অনেকবার এমন কথা বলেছি। তবে বাস্তবে বিষয়টি একেবারেই আলাদা মনে হয়েছে। অবশ্য আমি এর আগে থেকেই মনে মনে ভালোবেসে ফেলেছি। এরপর আমি আমার পরিবারের সঙ্গে বলি। এরই মধ্যে আমাদের পরিবারের কাছে নাঈম অনেক ভালো ছেলে হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে গিয়েছিল। আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হচ্ছেন তৌকীর-বিপাশা দম্পতি নাঈম বলেন, আমিও বহু সিনেমায় শাবনাজকে এমন প্রেমের কথা বলেছি। তবে বাস্তবে বিষয়টা একেবারেই আলাদা। আমি শাবনাজের মুখ দেখেই বুঝে গেলাম, সে আমাকে ভালোবাসে। তারপর আমরা দুজনই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, সবার সম্মতি নিয়ে বিয়ে করি। বিয়ে করার পর সবার দোয়ায়, সুখে-শান্তিতে ঘর করছি। প্রেমিক অভিনেতা থেকে স্বামী নাঈম সম্পর্কে শাবনাজ বলেন, পর্দায় নাঈমকে আমি যেমন পেয়েছি। বাস্তব জীবনেও তা পেয়েছি। আমরা সুখে-শান্তিতে এতগুলো দিন পার করেছি। এরপর ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর রাজধানীর লালমাটিয়াতে শাবনাজের বাসায় নাঈম-শাবনাজের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সে আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন তাদের দুই পরিবারের সদস্যরা। এই দম্পতির দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে বড় মেয়ে নামিরা উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় আছেন এবং ছোট মেয়ে মাহাদিয়া রাজধানীর উত্তরার আগা খাঁতে পড়াশোনা করছেন। আর/০৮:১৪/০৫ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/30PVCtV
October 05, 2020 at 08:51AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top