জেদ্দা, ২৮ নভেম্বর- সৌদি আরবের আবহাওয়ায় এখন শীতের আগমনী আবেশ। বাংলাদেশের নবান্নের ঢেউ এসে লেগেছে সৌদি আরব প্রবাসীদের জীবনেও। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে জেদ্দা প্রবাসী সমাজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রবাসী নবান্ন পিঠা উৎসব উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে। বারো মাসে তেরো পার্বণের ঐতিহ্যে লালিত বাঙালি জীবন থমকে যাবে পরবাসের জীবন পরিক্রমায়! প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম ভুলে যাবে স্বদেশ-সংস্কৃতি! না, তা হতে পারে না। তাই জেদ্দাপ্রবাসী উৎসাহী কিছু বাংলাদেশি পরিবার আয়োজন করে হেমন্তের নবান্ন পিঠা উৎসব। গত ২৫ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় জেদ্দায় অনুষ্ঠিত নবান্ন পিঠা উৎসবে জড়ো হন অনেকগুলো পরিবার। পিঠা উৎসব মানেই পিঠার প্রতিযোগিতা। মনের মাধুরী মিশিয়ে পিঠার নকশা, কারুকাজ, ভিন্নতায় পুরস্কার জিতে নিতে তৎপর ছিলেন অংশগ্রহণকারী নারীরা। নকশাদার বাহারি পিঠার সঙ্গে যুক্ত হয় হরেক রকম পুলি, পাটিসাপটা, দুধ চিতই, আনারকলি কত কী। টেবিলে সাজানো বাংলার ঐতিহ্যে ভরপুর বাহারি সব পিঠা দেখে নতুন প্রজন্ম পরিচিত হয় স্বদেশের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির সঙ্গে। বিচারকমণ্ডলী সাজানো বাহারী পিঠা দেখে ও খেয়ে তালিকা করেন বিজয়ীদের। অতঃপর চলে মন খুলে পিঠা-পুলি খাওয়ার ধুম। প্রবাসে নবান্নের পিঠা আয়োজন যেন স্বদেশের আমেজে অবগাহন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন আবুল বাশার, মোজাম্মেল হক মোল্লা, হুমায়ূন কবির ও তাহা মিয়া প্রমুখ। আলোচনায় তারা স্বদেশ-সংস্কৃতি ও নবান্ন উৎসবের স্মৃতিচারণ ও বাহারি সব পিঠা-পুলির প্রশংসা করে নতুন প্রজন্মকে আপন সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান। পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাহার উদ্দিন ও প্রতিভা হুমায়ূন। অনুষ্ঠানে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বিজয়ী পিঠা প্রতিযোগিনীদের হাতে। নৈশভোজে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয় গভীর রাতে। তখনো কারও নবান্নের পিঠার ঘ্রাণ আর আমেজ কাটেনি। আর/১০:১৪/২৮ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2gyYohd
November 29, 2016 at 05:57AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন