অটোয়া, ২৬ নভেম্বর- মাতৃভাষা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে প্রয়াত রফিকুল ইসলামের নাম।। ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে তিনি ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর কানাডার ভ্যাঙ্কুভার জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। সদালাপী রফিকুল ইসলাম ছিলেন ভ্যাঙ্কুভারের অনুকরণীয় এক ব্যক্তিত্ব। বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের এই উদ্যোক্তা স্মরণ করেছে কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২০ নভেম্বর মাদারস ল্যাঙ্গুয়েজ লাভারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড সোসাইটি (এমএলএলডব্লিউএস) ভ্যাঙ্কুভারের এক স্মরণ সভার আয়োজন করে। শাহানা আকতার মহুয়ার সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য দেন মাদারস ল্যাঙ্গুয়েজ লাভারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড সোসাইটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলামের সহযোদ্ধা আব্দুস সালাম, রফিকুল ইসলামের সহধর্মিণী বুলি ইসলাম এবং জ্যৈষ্ঠপুত্র জ্যোতি ইসলাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. সাহেদুর রহমান, কানাডা-বাংলাদেশ কম্যুনিটি সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম, হাফিজুর জাহাঙ্গীর এবং বাংলাদেশে তায়াকোয়ানডো এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী মোর্শেদ কামাল। কবিতা আবৃত্তি করেন জাহিদ লতিফ। মাদারস ল্যাঙ্গুয়েজ লাভারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড সোসাইটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাকে অঅন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার স্বপ্নটি ছিল রফিকুল ইসলামের মস্তিষ্কপ্রসূত। তাই তাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের জনক বললে অত্যুক্তি হবে না। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সূতিকাগার বৃটিশ কলাম্বিয়ায় মাদারস ল্যাঙ্গুয়েজ লাভারস অব দ্যা ওয়ার্ল্ড সোসাইটির কাজ চলছে। অনুষ্ঠানে আব্দুস সালাম সহযোদ্ধা, সংগঠক ও ব্যক্তি রফিকুল ইসলামের নানা দিক তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন। রফিকুল ইসলামের সহধর্মিণী বুলি ইসলাম এবং জ্যৈষ্ঠপুত্র জ্যোতি ইসলামের বক্তব্য উপস্থিত সবাইকে আবেগাক্রান্ত এবং স্মৃতিকাতর করে তোলে। প্রসঙ্গত, গ্রেটার ভ্যাঙ্কুভারের কয়েকটি স্কুল বোর্ডের বাৎসরিক কারিকুলামে একুশে ফেব্রুয়ারিকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এই স্কুলগুলোতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে। একইসাথে কানাডার প্রথম ভাষাসৌধ লিঙ্গুয়া আকুয়ায় মাদারস ল্যাঙ্গুয়েজ লাভারস অব দ্যা ওয়ার্ল্ড সোসাইটি আয়োজন করবে একুশের অনুষ্ঠান। আর/১৭:১৪/২৫ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2g0hRqr
November 26, 2016 at 06:30AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top