মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেট জেলা পরিষদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী ২৮শে ডিসেম্বর। ইতিমধ্যে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ হয়েছে। প্রতিক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আজ সোমবার মধ্য রাত পর্যন্ত প্রচার-প্রচারনা শেষ হচ্ছে। শেষ মুর্হুতে প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছেন বিশ্বনাথের সদস্য পদের পদপ্রার্থী। ভোটারা যেন এখন তাদের কাছে সোনার হরিণ! এ নির্বাচনে শুধু এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ভোট প্রয়োগ করবেন। তাদের ভোটের মাধ্যমে একজন সদস্য প্রার্থী নির্বাচিত হবে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড হচ্ছে বিশ্বনাথ উপজেলা। এ ওয়ার্ড থেকে ৮জন পুরুষ সদস্য পদে নির্বাচনে লড়ছেন। প্রার্থীরা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের কাছে চুষে বেড়াচ্ছেন। চাইছেন ভোট ভিক্ষা। ভোটার হচ্ছেন ১০৪জন। তারা সকলেই এলাকার জনপ্রতিনিধি। এক সময় তাদের কাছে ভোটার ছিলেন সোনার হরিণ, এখন তারাও হচ্ছে প্রার্থীদের কাছে সোনার হরিণ। ভোটার কম হওয়ায় প্রার্থীরা ভোটাদের কাছে একাধিক বার ভোট যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তাই প্রতিক পাওয়ার পরপরই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা ব্যাপক হারে শুরু হয়। কেউ কেউ প্রার্থীদের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রার্থীরদের প্রচার প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে এলাকা। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের পথ প্রান্তে মাঠ-ঘাট,দোকান, টি স্টোলসহ সর্বত্রে চলছে এ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা।
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে লড়ছেন ৮ জন প্রার্থী। গত ১২ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ৮ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদের ১’শ ৪ জন জনপ্রতিনিধি ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন । উপজেলা সদরের রামসুন্দর অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে কালো টাকার ছড়াছড়িও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগও রয়েছে। এ নির্বাচনে দুইজন সাংবাদিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহন করছেন। প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীদের পোস্টারে উপজেলা শহর এবং বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের আশপাশ এলাকা একাকার হয়ে গেছে। জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও পুরোধমে প্রচারনা চালাচ্ছেন।
জেলা পরিষদের নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি, খাজাঞ্চি, বিশ্বনাথ, অলংকারি, দৌলতপুর, দেওকলস, রামপাশা, দশঘর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিদ্বতা করছেন, উপজেলার দেওকলস ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম মতছিন (তালা প্রতিক), সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর একান্ত সচিব মঈনুল হক (হাতি প্রতিক), আ.লীগ নেতা কিনু মিয়া (অটোরিকশা প্রতিক), বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু (ঘুড়ি প্রতিক), পাক্ষিক বিশ্বনাথ বার্তা সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন সাজুল (টিউবওয়েল প্রতিক), সমাজসেবক সহল আল রাজি চৌধুরী (বৈদ্যতিক পাখা প্রতিক), যুবলীগ নেতা আবুল কাহার (ক্রিকেট ব্যাট প্রতিক), বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক শামছুল ইসলাম (টিফিন ক্যারিয়ার প্রতিক)
জেলা পরিষদের নির্বাচনে এ ওয়ার্ডে আ.লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রায় অর্ধশতাধিক উপরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তাদের ভোট যে প্রার্থী বেশি পাবেন সদস্য পদে তিনি নির্বাচিত হবেন ধারন করছেন এলাকাবাসী।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2iaw9pU
December 26, 2016 at 11:05PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন