মুম্বাই, ২১ ডিসেম্বর- ডিসেম্বর- বা বা-মায়েদের বিচ্ছেদ মানেই ছেলেমেয়েদের নিয়ে টানাহেঁচড়া! ব্র্যাড পিট আর অ্যাঞ্জেলিনা জোলি সন্তানদের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টা নিয়ে প্রায় অঘোষিত যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছেন। কেউই জমি ছাড়তে রাজি নন। কিন্তু এমন অনেক সেলিব্রিটি অভিভাবক আছেন, যাঁরা নিজেদের বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও, সন্তানদের দায়িত্বটা আবার একসঙ্গেই সামলান। ছেলেমেয়ের উপর সমস্যার আঁচ আসতে দিতে চান না। হৃতিক রোশন ও সুজান খান নিজেদের ১৪ বছরের দাম্পত্যে ছেদ টেনেছিলেন হৃতিক-সুজান। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁদের দুই ছেলে রেহান আর হৃদানের কী হবে? হৃতিক-সুজান দুজনেই কিন্তু স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, তাঁদের তিক্ততার ছাপ ছেলেদের উপর পড়তে দেবেন না। বাচ্চারা ভাগাভাগি করে বাবা-মায়ের কাছে থাকে। হৃতিক নিয়মিত বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে বেড়াতে যান। ছেলেদের সঙ্গে মুম্বইয়ে অটো-সফরেও বেরোন। সম্প্রতি রেহান আর হৃদানকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন হৃতিক-সুজান। ব্র্যাড আর জোলি এঁদের থেকে পেরেন্টিংয়ের পাঠ কিন্তু নিতেই পারেন। ফারহান আখতার ও অধুনা ভবানী মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের খবর সকলকে জানিয়েছিলেন ফারহান আর অধুনা। সেখানেই স্পষ্ট করে লেখা ছিল, তাঁদের সমস্যার প্রভাব সন্তান প্রতিপালনে পড়বে না। বাচ্চাদের জন্য তাঁরা দুজনে সব সময় এককাট্টা থাকবেন। ফারহান-অধুনার ১৬ বছরের দাম্পত্যজীবনে ছেদ পড়লেও দুই মেয়েকে নিয়ে একসঙ্গে ঘোরাফেরা করেন। বিচ্ছেদের পর ফারহানের সম্পর্কে কোনওদিনই খারাপ মন্তব্য করেননি অধুনা। এমনকী, ফারহানের ছবিতে হেয়ারস্টাইলিস্ট হিসেবে কাজও করেছেন অধুনা। গোয়েনেথ প্যালট্রো ও ক্রিস মার্টিন সরাসরি বিচ্ছেদের রাস্তায় যাওয়ার আগে দুজনে দাম্পত্যজীবন থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন। দেখছিলেন, বিচ্ছেদটা আদৌ জরুরি কি না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০১৫ সালে বিবাহবিচ্ছেদটা করেই ফেলেন গোয়েনেথ আর ক্রিস। মেয়ের জন্মের পর থেকেই কাজ করা কমিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ছেলে হওয়ার পর কিছুদিন পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভুগেছিলেন গোয়েনেথ। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেন বিচ্ছেদের। তা বলে ছেলেমেয়েকে অবহেলা করেন না মোটেই। ক্রিস আর গোয়েনেথ বাচ্চাদের নিয়ে একসঙ্গে বেড়াতেও যান। গোয়েনেথের মতে, নিজের সম্পর্কের আঁচ বাচ্চাদের উপর পড়তে না দেওয়াই উচিত। রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রিয়ঙ্কা সরকার একটা সময় এঁদের প্রেম নিয়ে সরগরম ছিল টলিউড। তাই রাহুল আর প্রিয়ঙ্কার বিচ্ছেদটা বেশ শকিং ছিল সকলের কাছে! যদিও রাহুল বা প্রিয়ঙ্কা কেউই স্পষ্ট করে নিজেদের বিচ্ছেদটা ঘোষণা করেননি। তবে তাঁরা এখন আলাদাই থাকেন। নিজেদের মধ্যে যা-ই হয়ে থাকুক, রাহুল কিংবা প্রিয়ঙ্কা কেউই ছেলে সহজের উপর তার আঁচ পড়তে দিতে রাজি নন। ছেলের তিন বছরের জন্মদিনে দুজনে মিলে সহজকে নিয়ে সারাদিনটা কাটিয়েছেন। সহজ মায়ের কাছে থাকলেও, বাবার সাহচর্য থেকে বঞ্চিত হয় না। রাহুল-প্রিয়ঙ্কা দুজনেই সোশ্যাল মিডিয়ার তিনজনের একসঙ্গে ছবি শেয়ার করে থাকেন। কঙ্কণা সেন শর্মা ও রণবীর শোরে বিয়ের বছরপাঁচেকের মধ্যেই সম্পর্কটা ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু পরস্পরের প্রতি সম্মানটা এখনও অটুট রেখেছেন কঙ্কণা আর রণবীর। ছেলে হারুণ থাকে কঙ্কণার কাছেই। কিন্তু অভিভাবকত্বটা স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলেই পালন করে থাকেন। এমনকী, বিচ্ছেদের পর কঙ্কণার ছবি আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জএ অভিনয় করেছেন রণবীর। দুজনে একবাক্যে বলে থাকেন, তাঁদের সম্পর্কের প্রভাব ছেলের উপর প়়ড়তে দেবেন না। বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার গার্নার ঠিক ১০ বছরের বিবাহবার্ষিকীর মাথায় নিজেদের বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন। বেন আর জেনিফারের তিন সন্তান। বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে জেনিফার বলেছিলেন, বেন নাকি বাচ্চাদের ন্যানির সঙ্গে প্রেম করছিলেন। তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গেলেও একে অপরকে কিন্তু ছেড়ে যাননি। একই বাড়িতে আলাদা আলাদা থাকেন। কারণ, অবশ্যই তাঁদের ছেলেমেয়ে। বেনের মতে, বাবা-মা আলাদা হয়ে গেলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে যে টানাহেঁচড়াটা হয়, সেটা তাঁরা দুজনেই চাননি। বাচ্চাদের নিয়ে দুজনে বেড়াতেও যান। বেন বাইরে শ্যুটিংয়ে গেলে জেনিফার হাতে কাজ রাখেন না। উল্টোটাও ঘটে থাকে। আর/১০:১৪/২১ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2hVBeSP
December 22, 2016 at 05:28AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top