ওয়েলিংটন, ১৩ জানুয়ারি- দিনের শুরুতে যখন মুমিনুল কোন রান না করেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন, তখনই শঙ্কার কালো মেঘ জমে উঠেছিল বাংলাদেশের সমর্থকদের কপালে। না জানি কি হয়! না জানি দ্রুত অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ; কিন্তু সব শঙ্কা কাটিয়ে দিয়ে দারুণভাবে বাংলাদেশকে খেলায় ধরে রাখলেন সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহীম জুটি। দুজনের জোড়া সেঞ্চুরি এবং দুশো রানের বেশি জুটির ওপর ভর করে বাংলাদেশ ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে এখন ৪০০ ছুঁই ছুঁই। এ দুজনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের পথেই রয়েছে বাংলাদেশ। এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১০১ ওভার শেষে ৩৯১। জোড়া সেঞ্চুরি করে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা মুশফিক ১১২ এবং সাকিব আল হাসান উইকেটে রয়েছেন ১২৬ রান নিয়ে। এরই মধ্যে দুজন মিলে গড়ে ফেলেছেন ২৩১ রানের জুটি। কিউই বোলারদের একের পর এক বাউন্ডারিতে আছড়ে ফেলে সাকিব-মুশফিক দুজনই তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। রীতিমত ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করছেন সাকিব আর মুশফিক। ৮৮-৯৮, এই ১০ ওভারে বাংলাদেশ রান তুলেছে ৬১। টেস্টে এত ঝড়ো ব্যাটিং সত্যিই কল্পনার বাইরে। শুরুতে মুমিনুলকে তুলে নিয়ে কিউই বোলাররা ইঙ্গিত দিয়েছিল দিনটা হয়তো তাদেরই হতে যাচ্ছে; কিন্তু সাকিব-মুশফিকের দৃঢ়তা তাদের সেই স্বপ্নকে ভেঙে খান খান করে দিল। উল্টো দিনটাকে বানিয়ে দিলো বাংলাদেশের। ৮৩.১ ওভারে রান হয়েছিল ৩০০। এরপর ৯১.২ ওভারে হলো ৩৫০। চা বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ১০১ ওভারে ৩৯১। উইকেট সেই আগের চারটিই। প্রচণ্ড বাতাস আর কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে আগের দিন খেলা হয়েছে মাত্র ৪০ ওভার। বাকি সময়টা ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। উইকেটে ছিলেন ইনফর্ম মুমিনুল হক ৬৪ রানে এবং সাকিব আল হাসান ৫ রান নিয়ে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে প্রত্যাশা ছিল মুমিনুল আর সাকিব আল হাসান জুটিটা যতদুর টেনে নিতে পারে। নিউজিল্যান্ড বোলাররা প্রবল পরাক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়বে, এটা ছিল জানা কথা। কিউই বোলারদের প্রথমদিন যেভাবে সামলেছেন, দ্বিতীয়দিনও যেন সেভাবে সামলে নিতে পারেন মুমিনুল অ্যান্ড কোং। কিন্তু দিনের শুরুতেই কিউই বোলারদের সবচেয়ে বড় আঘাতের সম্মুখিন হলেন মুমিনুলই। টিম সাউদির কাঁধ বরাবর লাফিয়ে আসা বলটি প্রথম দিন হলে ছেড়ে দিতেন হয়তো। আজ মুমিনুল ছিলেন একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী। এ কারণে বলটি খেলতে গেলেন। কিন্তু ঠিক মতো সংযোগ ঘটাতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে গেলো উইকেটের পেছনে বিজে ওয়াটলিংয়ের হাতে। দ্বিতীয় দিন শুরুতেই ৬টি বল খেললেন তিনি। কিন্তু কোনো রান আর যোগ করতে পারেননি মুমিনুল। ৬৪ রানেই আউট হয়ে গেলেন। মুমিনুল আউট হওয়ার পর মাঠে নামলেন মুশফিকুর রহীম। প্রথম ওয়ানডে খেলতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ার পর সেখান থেকে সেরে উঠে আক্ষরিক অর্থে আজই মাঠে নামলেন মুশফিক। তার ফেরাটা স্বাচ্ছন্দ্যের হয় কি না সেটাই ছিল দেখার। তবে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মুশফিকের জুটিটা বেশ মানিয়ে গেছে। মুমিনুলের উইকেট পড়াটা শঙ্কায় পরিণত হতে দিলেন না সাকিব-মুশফিক। এরই মাঝে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহীম। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের খেলা অর্ধেকেরও কম হওয়ায় দ্বিতীয় দিন আধাঘণ্টা আগে, অথ্যাৎ বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৩টায় শুরু হয়। আর/১০:১৪/১৩ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2jCb5Wj
January 13, 2017 at 03:33PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top