খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলা : আজ আবারো সাক্ষ্য গ্রহণ

আজ রবিবার আদালতে খাদিজাকে হাজিরের নির্দেশনা রয়েছে। তবে তিনি আদালতে হাজির হচ্ছেন না বলে জানা গেছে। সিলেট সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত শাবি ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের বিরুদ্ধে আজ আবার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য্য রয়েছে। সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করার কথা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এক মাস সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৮ জানুয়ারি) সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে খাদিজার সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিলো। সুস্থ হলেও এখনও খাদিজা বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেন না বলে জানিয়েছেন তার চাচা আবদুল কুদ্দুস।  সাভারের পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) চিকিৎসক ডা. সাঈদ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে থেরাপি দেওয়া হয় খাদিজাকে। এ অবস্থায় তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব নয়। খাদিজার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার দিক চিন্তা করে আদালতে সময় আবেদন করা হয়েছে।’
খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় ইতিমধ্যেই ৩ কার্যদিবসে মামলার ৩৭ আসামীর মধ্যে ৩৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। খাদিজা বর্তমানে ঢাকার সাভারের সিআরপিতে চিকিৎসাধীন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ অক্টোবর খাদিজা বেগম নার্গিসকে এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত শিক্ষার্থী (পরে বহিষ্কৃত) ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা ধোলাই দিয়ে বদরুলকে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন তার চাচা আবদুল কুদ্দুস। পরে ৫ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বদরুল। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

৩ অক্টোবর দিবাগত রাতেই খাদিজাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকতে থাকতে বেঁচে ফিরেন খাদিজা। পরে তাকে থেরাপি দেওয়ার জন্য সিআরপিতে নেওয়া হয়।

এদিকে, গতবছরের ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে ৩২৪, ৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। পরে ৫ ডিসেম্বর, ১১ ডিসেম্বর ও ১৫ ডিসেম্বর বদরুলের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন ৩৩ জন।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2iRbZ1P

January 08, 2017 at 02:28PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top