কোলেস্টেরলের জুজু দেখিয়ে হামেশাই চিকিত্সকরা ডিম খাওয়ার ওপর একাধিক বাধা-নিষেধ আরোপ করে থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, যাঁদের একটু বয়স বেশি, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল অথবা হৃদ্রোগের ঝুঁকি আছে, তাঁদের ডিম কম খাওয়া উচিত। আর ডিমের লাল অংশ তো একেবারেই নয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এখন ডিমকে বাদের তালিকায় একেবারেই রাখতে চাইছে না। কারণ একটি ডিমে রয়েছে মাত্র ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডিম, চিংড়ি মাছ এবং অন্যান্য অ্যানিমেল ফুডে রক্তের কোলেস্টেরলের ওপর সামান্যই বা মার্জিত মাত্রায় প্রভাব রয়েছে।
হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর পুষ্টি ও এপিডেমিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফ্রাংক হু বলেছেন, খাবার থেকে যে কোলেস্টেরল আসে, অর্থাৎ ডায়েটরি কোলেস্টেরল, তা কিছুটা ক্ষতিকর। কিন্তু ডিম এক্ষেত্রে অনেকটা নিরাপদ। কাজেই ডিম ক্ষতিকর প্রসেসড মিট বা প্রক্রিয়াজাত মাংসের ভালো বিকল্প হতে পারে। সকালের খাবারে একটি ডিম কোলেস্টেরল প্রোফাইলের ওপর তেমন কোনও প্রভাব ফেলে না।
সম্প্রতি, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সে-দেশের নাগরিকদের যে-খাদ্যাভ্যাস রাখতে বলেছে, তাতে বলা হয়েছে, ডিমের সাদা অংশ খেলে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি থাকে না।
from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2jQ6xPx
January 23, 2017 at 06:37PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.