ঢাকা, ১১ মার্চ- লাকী আখন্দ-এর জনপ্রিয় গানের শব্দ ও পংক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে এক গানের অ্যালবাম তোমার যতো গান। ক্যানসার আক্রান্ত মৃত্যুপথযাত্রী এ শিল্পীর জন্য গানটি তৈরি করেছেন প্রবাসী ছয় শিল্পী বারে বারে যুগে যুগে/ থাকবে তোমারই নাম/ লেখা হয়ে আছে বুকেরই পাঁজরে/তোমার যত গান! ভোলা কি যাবে এই নীল মণিহার/আবার এলো যে সন্ধ্যা/যাবে না ভোলা আজ আছি কাল নেই অভিযোগ রেখো না/কতো স্মৃতি কতো গান বেঁধেছে এই প্রাণ সুরের মিছিল বলে তাই/ভোলা কি যাবে কবিতা পড়ার প্রহর যেখানে সীমান্ত তোমার/যাবে না ভোলা আমায় ডেকো না/ফেরানো যাবে না আর-এমন কথায় প্রবাসী ছয় শিল্পী মুমূর্ষু লাকীআখন্দের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। তিতাস কাজী ও সঞ্জয় মুখার্জির এমন কথায় গানটিতে সুর দিয়েছেন কাজী তিতাস, কণ্ঠ দিয়েছেন সুমন শরীফ, এ আই রাজু, মোল্লা বাবু, লাবনী বড়ুয়া, পরশ মনি ও তিতাস কাজী। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন লাবু রহমান ও ফোয়াদ নাসের বাবু। একটি গান নিয়েই প্রকাশ হয়েছে তোমার যতো গান-এর সিডি। গানটি ৭ মার্চ শিল্পী তিতাস কাজীর ইউটিউব চ্যানেলেও উন্মুক্ত করা হয়েছে। এদিকে হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী লাকী আখন্দ গানটি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ঘণিষ্টজন এরশাদুল হক টিংকু। চোখের কোণে তার অশ্রু জমেছে গানটি দেখে, তিনি শিল্পীদের সাধুবাদ জানিয়েছেন, নিজের জন্য দোয়া চেয়েছেন সবার কাছে, এমনটাই বললেন টিংকু। লাকী আখন্দ-এর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানিয়েছেন তার চিকিৎসক নেজাম উদ্দিন আহমেদ। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, উনি হাসপাতালেই আছেন। কিছুদিনে একটু উন্নতি হলেও ফের অবনতির দিকে যাচ্ছে তার শারীরিক অবস্থা। শয্যাশায়ী হয়েই দিন কাটছে তার। গুরুতর অসুস্থ হয়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে লাকী আখন্দের। এরপর ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পর তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। তার চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকেও সহায়তা করা হয়েছিল। আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় শিল্পী লাকী আখন্দ একাধারে সংগীত পরিচালক, সুরকার ও গীতিকার। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে প্রথমবারের মতো একক অ্যালবাম বের করেন তিনি। ওই অ্যালবামের এই নীল মণিহার, আমায় ডেকো না, রীতিনীতি জানি না, মামনিয়া, আগে যদি জানতাম গানগুলো শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ১৯৮৭ সালে ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের মৃত্যুর পরপর সংগীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছায় নির্বাসন নেন এই গুণী শিল্পী। মাঝখানে প্রায় এক দশক নীরব থেকে ১৯৯৮-এ পরিচয় কবে হবে ও বিতৃষ্ণা জীবনে আমার অ্যালবাম দুটি নিয়ে আবারও শ্রোতাদের মাঝে ফিরে আসেন তিনি। আর/১০:১৪/১১ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2mcA4jC
March 12, 2017 at 05:24AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top