আরিফুর রহমান স্বপন ● লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকাধীন বিভিন্ন রেলক্রসিংগুলো এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। গত কয়েক বছরে ওইসব রেলক্রসিংগুলোতে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে শতাধিক লোকের প্রানহানিসহ বহু যানবাহন দুর্ঘটনায় কবলিত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
রেলওয়ের একটি সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের তদারকির অভাব, গেটম্যান না থাকা, আর রেললাইন সংলগ্ন রেলওয়ের ভূমি অবৈধ দখলে নেয়ায় মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে ওইসব রেলক্রসিংগুলো। লাকসাম রেলওয়ে জংশনের আওতাধীন ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম রেলপথে ৬৮টি, লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথের আউটার সিগন্যাল পর্যন্ত ১টি এবং লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথে ৪৮টিসহ ১১৭টি রেলক্রসিং রয়েছে। যা স্থানীয়দের তথ্য মতে প্রায় দুই শতাধিক। এর মধ্যে ৩৪টি রেলক্রসিংয়ে গেইট ও গেটম্যান থাকলেও বাকিগুলো রয়েছে অরক্ষিত। ফলে গত কয়েক বছরে ওইসব রেলক্রসিংয়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে শতাধিক লোকের প্রানহানিসহ বহু যানবাহন দুর্ঘটনায় কবলিত হয়েছে।
আর তদারকির অভাবে অরক্ষিত কয়েকটি রেলক্রসিংয়ে সতর্কবার্তা সাইন বোর্ড দিলেও থেমে থাকেনি দূর্ঘটনা। এক শ্রেণির অসাধূ ব্যাক্তি রেললাইনের লেভেলক্রসিং সংলগ্ন রেলওয়ের ভূমি অবৈধ ভাবে দখল করে বাড়ি-ঘর, দোকানপাট নির্মাণ ও গাছ গাছালি রোপন করার কারনে পথচারী বা যানবাহন চালকদের ট্রেন চলাচল চোখে পড়ছেনা।
এ কারনে রেলক্রসিং দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পথচারী বা যানবাহন চালকরা প্রতিনিয়ত প্রান হারাচ্ছেন। এদিকে গত এক বছরে ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা ধর্মপুর, হরিশ্চর, উত্তর লাকসাম, সাতবাড়িয়া, লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথের বিপুলাসারে অবৈধ ও অরক্ষিত লেভেলক্রসিংয় পারাপারের সময় ১০জন প্রান হারিয়েছেন।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি স্বপন কান্তি বড়–য়া জানান, লাকসাম রেলওয়ে থানার অধীনে ১১৭টি রেলক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টি রেলক্রসিং রয়েছে বৈধ। বাকিগুলো অবৈধ লেভেলক্রসিং হিসেবে রেলওয়ে কতৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে পারাপারের জন্য সতর্কবার্তা লিখে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছেন। আর নিজেদের অসাবধানতার জন্য অবৈধ লেভেলক্রসিং গুলোতে প্রতিনিয়তই প্রানহানীসহ বিভিন্ন যানবাহন দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
from ComillarBarta.com http://ift.tt/2oAtF4S
April 16, 2017 at 06:39PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন