দিসপুর, ১০ এপ্রিল- নারী এবং পুরুষ নির্ধারিত বয়সের আগে বিয়ে করলে এবং দুই সন্তানের বেশি হলে সরকারি চাকরি কেউ পাবেন না। ভারতের আসাম রাজ্যর খসড়া জনসংখ্যা নীতিতে বলা হয়েছে এসব কথা। রোববার প্রকাশিত খসড়ায় বলা হয়েছে, এই শর্ত মানলেই কেবল সরকারি চাকরি পাওয়া যাবে। চাকরি জীবনেও মানতে হবে এসব শর্ত। তবে চাকরি জীবনে কেউ এ শর্ত না মানলে তার চাকরি চলে যাবে কি না তা অবশ্য স্পষ্ট করে বলা হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা রোববার জনসংখ্যা নীতির খসড়া প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রাজ্য শাসন ব্যবস্থা অংশ হিসাবে এ নীতি প্রস্তাব করা হয়েছে। বিয়ের জন্য ন্যূনতম যে বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে তা মানা বাধ্যতামূলক। আর তা মানলেই কেবল সরকারি চাকরি এবং সরকারি পরিষেবা পাওয়া যাবে। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাক্টর দেওয়া, ঘর দেওয়া বা অন্যান্য সরকারি কর্মসংস্থান প্রকল্পের ক্ষেত্রে দুসন্তান নীতি কার্যকর হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত রাজ্যের ছাত্রীরা বিনা খরচে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, নারীদের ১৮ এবং পুরুষদের ২১ বছর বিয়ের বয়স নির্ধারণ করা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। রাজ্য ক্ষমতাসীন বিজেপির এই জনসংখ্যা নীতি বাংলা-ভাষী মুসলিম অভিবাসীদের পরিবারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে প্রয়াস হিসেবে দেখা হয়। ধারণা করা হয়, এ রাজ্য অধিকাংশই বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে চলে আসা মানুষ। এ ছাড়া, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে পৌরসভা, পঞ্চায়েত বা কোনো স্বশাসিত সংস্থার ভোটে প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম চালু হতে পারে। আর/১২:১৪/১০ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2pi9asy
April 10, 2017 at 06:20AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন