ঢাকা, ১২ মে- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল স্থগিতে আদালত নির্দেশ দিলেও বিজয়ীরা শপথ নিয়েছেন। এতে আদালতকে অবমাননা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী। তবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনার দাবি করেছেন, ফল স্থগিতের খবর জানতে পারলেও কোনো কাগজপত্র পাননি। ১২ মে শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটায় বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে নবনির্বাচিত ব্যক্তিদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়েছে। এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী আমিনুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, নির্বাচনের ফল স্থগিত ও দায়িত্ব হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা মানেই শপথগ্রহণ বন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু শপথ গ্রহণ করে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে, আদালতকে অবমাননা করা হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরেও কেন শপথ গ্রহণ করা হলো, এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর এ প্রতিবেদককে জানান, আদালতের স্থগিতাদেশের খবর বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারলেও অফিসিয়ালি কোনো কাগজপত্র পাননি। এজন্য পূর্ব নির্ধারিত সময়েই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে লড়েছে তিনটি প্যানেল। নির্বাচনে মোট ২১টি পদে লড়েছেন ৫৯ প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ছিল ৬২৪ জন। প্যানেল ছিল তিনটি- ওমর সানী-অমিত হাসান, মিশা সওদাগর-জায়েদ খান ও ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা প্যানেল। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক (২০১৭-১৮) নির্বাচনে মিশা সওদাগর সভাপতি এবং জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, নির্বাচনে ভোট গণনায় গড়মিল, বহিরাগতদের উপস্থিতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সমিতির সদস্য রমিজ উদ্দিনের আবেদন করলে ১১ মে বৃহস্পতিবার নির্বাচনের ফল স্থগিত করেন ঢাকার সিনিয়র সহকারি জজ ২য় আদালত। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আদালতের নির্দেশের পর শুক্রবারের নির্ধারিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বাতিল করা হয় বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন মনতাজুর রহমান আকবর। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো। আর/১০:১৪/১২ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2r1jz0E
May 13, 2017 at 04:10AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন