ঢাকা, ২৯ মে- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে ১৮ মে। সেই থেকে পুরস্কার নিয়ে নানান বিতর্ক হচ্ছে। এবার সরাসরি চিত্রনায়ক আলমগীরকে দোষারোপ করলেন সেরা পরিচালকের পুরস্কার পাওয়া মোরশেদুল ইসলাম। একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলছিলেন, বিতর্ক যেটা হচ্ছে সেটা ঠিকই হচ্ছে। বিতর্ক হতে পারে নব্বই শতাংশ পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক হওয়াটা তো ঠিক না। কেন এমন হচ্ছে, আপনি তো দুইবার জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন? মোরশেদুল ইসলাম বলেন, সরকার যোগ্য লোকদের নিয়েই জুরি বোর্ড গঠন করে। কিন্তু হয় তারা ঠিকমত জাজমেন্ট করতে পারে না, না হয় তারা কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করেন এগুলো দেখার বিষয়। দীপু নাম্বার টু-খ্যাত পরিচালক আরো বলেন, আমার দুইবার জুরি বোর্ডে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি অনেক সদস্য থাকেন যারা ছবি বুঝেন না। আমি এক ভদ্রলোকের নাম সরাসরিই বলব চিত্রনায়ক আলমগীর। প্রতিবছর উনি জুরি বোর্ডে থাকেন। তিনি গতবার নিজেকে নিজে পুরস্কার দিতে চেয়েছিলেন। অতীতেও তিনি নিজেকে পুরস্কার দিয়েছিলেন। কিন্তু গতবার আমার জোরালো ভূমিকার কারণে তিনি পারেননি। মোরশেদুল ইসলাম দাবি করেন, এ কারণে অনিল বাগচীর একদিনকে কম নাম্বার দেন আলমগীর। তিনি বলেন, নাম্বার কম দিতেই পারেন। কিন্তু তাই বলে অস্বাভাবিক কম নাম্বার! যার কারণে অনিল বাগচীর একদিন প্রথমে পুরস্কার না পেলেও পরবর্তীতে মন্ত্রীসভা কমিটি তা অন্তর্ভুক্ত করে। তিনি বলছিলেন, মন্ত্রীসভা কমিটি যখন দেখল আমার ছবিটি নেই তখন তারা অনীল বাগচীর একদিন ও বাপজানের বায়োস্কোপ দুটো ছবির কিছু অংশ দেখেন এবং পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন অনীল বাগচীর একদিনকে। যৌথভাবে পুরস্কার দেওয়া নিয়ে মোরশেদুল ইসলাম বলেন, যৌথভাবে পুরস্কার এক-দুটা ক্যাটাগরিতে হতে পারে। তাই বলে এতগুলো! আলমগীর সাহেব গতবার রুনা লায়লাকে সেরা গায়িকার পুরস্কার দিতে চাইলেন। আমরা বললাম, উনি তো লিজেন্ড, উনি আজীবন সম্মাননা পাবেন, উনাকে কেন গায়িকার পুরস্কার দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত উনার জেদের কারণে যৌথভাবে পুরস্কার দেওয়া হলো।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2s6SMxi
May 30, 2017 at 02:54AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন