মন্ট্রিয়ল, ০২ এপ্রিল- গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক জনকন্ঠের প্রথম পাতায় পার্বত্য এলাকায় নতুন অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টায় ভাবনা কেন্দ্র শীর্ষক সাংবাদিক ফিরোজ মান্নার প্রতিবেদনে একপর্যায়ে মহামানব গৌতম বুদ্ধকে সন্ত্রাসী বলার প্রতিবাদে মন্ট্রিয়লের কোট্ দ্যানেইজের ডি ন্যান্সি সড়কে গতকাল রোববার দুপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনকন্ঠে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে এবং প্রতিবেদক সাংবাদিকের দুষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে ব্যানার-ফেষ্টুন নিয়ে বিপুল সংখ্যাক প্রবাসীরা উপস্থিত হয়ে মানববন্ধনে প্রতিবাদ জানান। বিশেষ করে ছোট ছোট শিশুদের হাতের ফেষ্টুন মূলধারার মানুষকে দৃষ্টিগোচর করে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কানাডা-বাংলাদেশ বুড্ডিষ্ট এ্যাসোসিয়েশন অব মন্ট্রিয়লের সভাপতি জয়দত্ত বড়ুয়া। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুশান্ত বড়ুয়া। মহামানব গৌতম বুদ্ধকে সন্ত্রাসী বলার প্রতিবাদে জাতীয় দৈনিক জন্কন্ঠের সাংবাদিক ফিরোজ মান্নার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি নেতা শ্যামল দত্ত, ড. আদিত্য দেওয়ান, ধর্মলংকার ভিক্ষু, আনন্দপ্রিয় ভিক্ষু, দিলীপ কর্মকার, বিদ্যুৎ ভৌমিক, জিয়াউল হক জিয়া, পরিতোষ বড়ুয়া, রাজীব বড়ুয়া, রনজয় বড়ুয়া, বেসান্তর বড়ুয়া, রিংকন বড়ুয়া, অন্যতমা বড়ুয়া, শিপ্রা বড়ুয়া, রত্নাপাল বড়ুয়া, কুসুম বড়ুয়া, শরণ বড়ুয়া, ডালিম বড়ুয়া, সুকান্ত বড়ুয়া, আশীষ বড়ুয়া, বাবলু বড়ুয়া, প্রমোদ বড়ুয়া, সুরজিৎ বড়ুয়া, বিনয় চাকমা, প্রমুখ। বক্তারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার বলে দাবীদার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীল ঘরানার জাতীয় দৈনিকে হঠাৎ করেই মহামানব গৌতম বুদ্ধকে সন্ত্রাসী বলায় প্রবাসীরা বিস্মিত-হতবাক হয়েছেন। বক্তারা বলেন যিনি অহিংসা পরম ধর্ম প্রাণী হত্যা মহাপাপ বিশ্বের সকল প্রাণী সুখি হউক শত্রুতা নয়; বরং মিত্রতা দিয়েই শত্রুকে জয় করতে হবে এসব মহাবাণীর প্রবক্তা গৌতম বুদ্ধ কিভাবে সন্ত্রাসী হয়? ফিরোজ মান্নার মতো একজন মুর্খ ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ এ ধরনের কথা বলতে পারেনা। পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের সংগ্রাম, তাদের ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐহিত্য ও অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। এটা কোন ধর্মীয় হুকমত প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নয়। এখানে গৌতম বুদ্ধকে টেনে এনে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করা উদ্দেশ্য প্রনোদিত। বক্তারা বলেন ফিরোজ মান্নার প্রতিবেদনে আরো অনেক অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়, তিনি লিখেছেন রাঙামাটিতে রাজবন বিহার ও বনবিহার, বাস্তবে রাঙামাটিতে শুধুমাত্র একটি রাজবনবিহার আছে। উনি আরো লিখেছেন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন ও আল হায়াকিনের মত সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রামেই ইউ,পি,ডিএফ ও জনসংহতি সমিতির মতো সংগঠনগুলোকে সহায়তা দিচ্ছে অথচো আমরা জানি রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন ও আল ইয়াকিন এগুলো বার্মার রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রামরত সংগঠন এবং তারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। তারা কিভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ আদিবাসীদেরকে সাহায্য করবে তা মোটেই বোধগম্য নয়। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হলেও চুক্তিটি বাস্তবায়িত হয়নি। মহামানব গৌতম বৌদ্ধকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করার অর্থ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টির অপচেষ্টা করা। বক্তারা আরো বলেন, এ প্রতিবেদন ছাপার কারণে বাংলাদেশে যদি কোন সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে তার জন্যে জনকন্ঠ ও প্রতিবেদক ফিরোজ মান্না দায়ী থাকবে। বক্তারা ফিরোজ মান্নার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ভবিষ্যতে কেউ যাতে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করতে না পারে সেদিকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বক্তারা রোমেল চাকমা হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন।সূত্রঃসিবিএনএ আর/১৭:১৪/০২ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2qv0z7h
May 03, 2017 at 05:42AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন