সুরমা টাইমস ডেস্ক:
সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম পদক্ষেপ এবং এখনও আদিবাসীরা নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।
৩০ জুন মহান সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬২তম বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এমন্তব্য করেন। শুক্রবার (৩০ জুন) সকাল ১১টায় রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগারে (মিয়াপাড়া) এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এম.পি।
বক্তব্য দেন করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক সূর্য হেমব্রম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি কল্পনা রায়, ব্লাস্ট রাজশাহী জেলা সমন্বয়কারী এডভোকেট আব্দুস সামাদ, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক প্রশান্ত কুমার সাহা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি রাজশাহী জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, ন্যাপ রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট. মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য রাজকুমার শাও, আদিবাসী যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নবদ্বীপ লাকড়া, রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক সুসেন কুমার শ্যামদুয়ার, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমার মুন্ডা, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হেমন্ত মাহাতো প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক আন্দ্রিয়াস বিশ্বাস।
আলোচনা সভায় আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাশের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, “সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম পদক্ষেপ, যা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তৎকালীন সাঁওতাল আদিবাসীরা যে নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন তা এখনো পূরণ হয়নি, এখনো আদিবাসীরা নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তাই আদিবাসীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সকল আদিবাসীদের দলমত নির্বিশেষে এক হয়ে কাজ করতে হবে। একই সাথে আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
উল্লেখ্য যে, সাঁওতাল বিদ্রোহের মহানায়ক সিধু-কানু-চাঁদ-ভৈরব-ফুলমনি মুরমু এর নেতৃত্বে জমিদার, মহাজন, পুলিশ, ঠিকাদার ও ব্রিটিশ সরকারের জুলুম অত্যাচার, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও গ্রামকে গ্রাম অগ্নিসংযোগ এর প্রতিবাদে ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন আদিবাসী সাঁওতালসহ সকল শ্রেণির সংগ্রামী গরীব মানুষ সমবেত হয়ে কৃষকদের অধিকারের দাবীতে গণসংগ্রাম গড়ে তোলে এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ব্রিটিশের সাথে লড়াই করে প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল জীবন দিয়েছিলেন।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উদ্যোগে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2suh1Vl
June 30, 2017 at 07:58PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.