লস অ্যাঞ্জেলেস, ২২ জুন- আমার শরীর, আমার সম্পদ। সনাতন ধর্মে আছে- শরীর নাকি মন্দিরসম। তাহলে শরীর নিয়ে হেলা-ফেলা করাটা নিশ্চয়ই বোকামি ছাড়া কিছু নয়। এদিকে মানব সম্পদ ধ্বংস করার ধীরগতি সম্পন্ন অস্ত্র হচ্ছে মাদক। যে দেশে মাদকদ্রব্য যত সহজলভ্য, সে দেশ বিশ্ব কূটনৈতিক দিক থেকে তত পিছিয়ে থাকা দেশ। একটি দেশের যুব সমাজকে শেষ করতে মাদক দ্রব্য সহজলভ্য, সংস্কৃতিহীনতা এবং ধর্মান্ধতার মতো ব্যাপারগুলো সূচেঁর মতো সূক্ষকৌশলে সে দেশটাতে ঢুকিয়ে দিতে পারলেই- ব্যস। মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে থাকাটা কোনো জীবন হতে পারে না। এটাকে জীবন থেকে পালিয়ে বেড়ানো বলে। যারা জীবনে লড়তে ভয় পায়, তারাই জীবন থেকে পালিয়ে বেড়ায়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্নভাবে মাদকাসক্তদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। যারা মাদকাসক্ত- তারা নিজেরা উদ্যোগী না হলে জীবনের এই অভিশাপ কখনোই দূর করা সম্ভব নয়। মাদকের আসক্তে থাকা যে সুখি জীবন নয়, তা এবার ব্যাখ্যা করেছেন বিখ্যাত সব তারকারা। তারা নিজেরাও এক সময় মাদক গ্রহণ করতেন। এখন তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরে নিজেকে সুখি মনে করছেন। মাদকাসক্ত পুনর্বাসন সুবিধার জন্য অ্যান্ট ম্যাকপার্টলিন একটি বিখ্যাত কোম্পানী, যারা মাদক সমস্যায় থাকা মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে থাকেন। অ্যান্ট ম্যাকপার্টলিন মাদকাসক্ত অনেক বড় বড় তারকাদের মাদকাসক্তি সমস্যার সমাধান করেছে। চলুন তেমন কয়েকজনের কথা জানা যাক নাওমি ক্যাম্পবেল বৃটিশ সুপারমডেল নাওমি ক্যাম্পবেল বলেন, আমি আসক্ত ছিলাম, এবং আমি পেশাগত সহযোগীতার মাধ্যমে আমি আমার জীবন গড়ে নিয়েছি। আমি অ্যালকোহলিক্স অ্যানোনিমাস(এএ) এবং নারকোটিক্স অ্যানোমাইম(এনএ) মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলাম। আমার ডক্টর আমাকে তাদের মিটিংয়ে থাকার পরামর্শ এবং অনুপ্রেরণা দেন। নাওমি ক্যাম্পবেল দাবি করেন তার জীবন এএ এবং এনএ এর মিটিং বদলে দিয়েছে । মার্ক ওইন বৃটিশ সংগীত শিল্পী মার্ক ওইন রেডিও টাইমসকে বলেন, পুনর্বাসনে আমি আমার আচরণের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমি কে ছিলাম আর কী হলাম। আমি সত্যি এমন একজন হতে চেয়েছি যাকে আমি সত্যি চিনতে পারিনা। কীভাবে কী হয়ে গেলো? কলিন ফ্যারেল আইরিশ অভিনেতা কলিন ফ্যারেল দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, আমার একটি মজার ব্যাপার আছে এক বছর আগেও যেটা আমাকে আতঙ্কগ্রস্থ করতো। এখন আমি খুব খুশি যে আমি এই উন্মাদতা থেকে বের হতে পেরেছি। আইরিশ এই অভিনেতার যে কন্ঠ ছিলো, তা পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি হওয়ার সময় ছিল না। রাসেল ব্র্যান্ড বৃটিশ কমেডিয়ান রাসেল ব্র্যান্ড বলেন, একটা সহকারি না হলে আমি মাদক গ্রহণ করবো। কারণ এখনো আমি একটা শর্তসাপেক্ষে চলছি। মাদক আমার সমস্যা নয়- সমস্যা হলো বাস্তবতা; মাদক হলো আমার সমাধান। সুস্থ হওয়ার পর মাদকাসক্তের ব্যাপারটা একটা ভ্রমনের মতো মনে হয়েছে বৃটিশ এই কমেডিয়ান শিল্পীর কাছে। জেরার্ড বাটলার স্কটিস অভিনেতা জেরার্ড বাটলার মেনস হেলথকে বলেন, আমি ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করা শুরু করেছি এবং আমি খুব দ্রুত এগুলো আরো গ্রহণ করা শুরু করবো। স্কটিস এই অভিনেতা ২০১২ সালে বিট্রি ফ্রোড পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি হন ব্যথা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যে। দাভিনা ম্যাকেল বৃটিশ টেলিভিশন উপস্থাপিকা দাভিনা ম্যাকেল তার বইয়ে লিখেছেন- পার্টি বা অন্য কোনো কারণে আমি মাদক গ্রহণ করতাম এরকম ছিল না। আমি ব্যাপকভাবে মাদক গ্রহণ করতাম। আমি আগেও বলেছি, আমি জানতাম যে আমি যা করছি ঠিক করছি। আমি একটা পরিবর্তন চেয়েছিলাম। আমি নিজেকে ভুলে গিয়েছিলাম। আমি যখন নারকোটিক্স অ্যানোমাইম মিটিং-এ যাই, তখন থেকে আমার জীবন পরিবর্তন হয়ে গেল। বৃটিশ এই টেলিভিশন উপস্থাপিকা ২০ বছর মাদকগ্রহণ করার পর পুনর্বাসনে কেন্দ্রে যান। সূত্র : দ্য মিরর আর/১০:১৪/২২ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tyfYVV
June 23, 2017 at 04:40AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন