জামায়েত বি এন পি র তৈরী আইনকে শক্তিশালী করলো সরকার…।।।

সুরমা টাইমস ডেস্ক : মন্ত্রী সভার সিদ্ধান্তে বর্তমান সরকার দ্রুত বিচার আইনের শাস্তি বৃদ্ধি করেছে। আইনজীবিরা জানান দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি ছিল ৫ বছর করাদন্ড। মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে হয়েছে সাত বছর।
এই আইনে শাস্তি বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল (বিএনপি) তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সঙ্গঁত কারনে প্রশ্ন আসে শাস্তি বৃদ্ধিনা করলে কি দ্রুত বিচার আইন গনতান্ত্রিক, আইনের শাসনের সহায়ক? জন অভিমত হচ্ছে দ্রুত বিচার আইন গন নির্য্যতনের হাতিয়ার, গনতন্ত্রকে পঙ্গুঁ করার একটি অস্ত্র। তারা বলছেন ২০০২ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতাসীন খালেদা, নিজামী (বিএনপি-জামাত) এই আইনটি তৈরী করে এবং সংসদে পাশকরে। ঐ সময় আওয়ামী লীগ এ আইনের তীব্র বিরোধিতা করে এবং জনগনের কাছে অঙ্গিঁকার করে তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দ্রুতবিচার আইন বাতিল করবে। কিন্তু আজ তা না হয়ে বাড়ছে শাস্তির মেয়াদ।
জনগন বলছেন আওয়মী লীগ ও বিএনপি শ্রেণী গত ভাবে এক। সে কারনে তারা লোক দেখনো বাদ-প্রতিবাদে লিপ্ত হয়ে জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে আবদ্ধ করে।
জনগন বলছেন ২০০২ সালে ঐ আইন যখন বিএনপি সংসদে পাশকরে তখন আওয়ামী লীগ বলেছিল বিএনপি জামাত স্বাধীনতা বিরোধী দল। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধবংস করতে দ্রুত বিচার আইন করেছে। মুক্তি যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল হিসাবে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতার আসীন হলে মুক্তি যুদ্ধের চেতনা বিধ্বংসী, গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা পঙ্গুঁকারী দ্রুত বিচার আইন বাতিল করবে।
অথচ আজ আওয়ামী লীগই ঐ আইনকে করছে শক্তিশালী আর বিএনপি শাস্তি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করলেও আইনটি করার জন্য গর্ববোধ করছে।
অভিজ্ঞ রানৈতিক বিশ্লেষকরা মনেকরেন আওয়মী লীগ, বিএনপি, মহাজোট, জাতিয় পার্টি জামায়েত- শ্রেণীগত ভাবে এক। তাদের মূললক্ষ্য গনঅধিকার ধবংশ করা; গনতন্ত্র ধবংস করা। অভিজ্ঞমহল জনগনকে এই গনবিরোধী শক্তিকে বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বিকল্পরাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার আহবান জানান।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2rXpphB

June 10, 2017 at 10:31PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top