আলিপুরদুয়ার, ১৮ জুলাইঃ তাঁর ক্রেডেনশিয়াল অনেকটা এইরকম—
১) তিনি জোড়াপানি নদী সংস্কারে মাটি কাটার কাজের বরাত পেয়েছিলেন। এক কোদাল মাটি না কেটেই এসজেডিএ থেকে বিল বাবদ পুরো টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
২) ময়নাগুড়ি ও বাগডোগরায় শ্মশান তৈরির বরাত পেয়েছিলেন তিনি আরও কয়েকজন ঠিকাদারের সঙ্গে। সেই কাজেও ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়েছে।
৩) কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় তিনি বেশ কয়েকমাস জেলে ছিলেন। পরে জামিনে মুক্তি পান। তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করে এসজেডিএ। তৎকালীন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান বর্তমান পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ঘোষণা করেছিলেন—ওই ঠিকাদাররা রাজ্যে কোনও সরকারি কাজের বরাত তো পাবেন না। দেশের কোথাও কোনো সরকারি কাজ যাতে তাঁরা না পান সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
২০১৩ সালের এই ঘটনার পর চার বছরও কাটেনি। আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণকাজের বরাত পেয়েছেন এসজেডিএ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানো শিলিগুড়ির নামী ঠিকাদার শংকর পাল। সেখানেও একগুচ্ছ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী নিয়ম না মেনে অদক্ষ শ্রমিক দিয়ে ভবনের কাজ করানোর সময় ছয়তলা থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যুও হয়েছে। তখনই জানা গিয়েছে, নিয়মমতো জেলা শ্রম দপ্তরে শংকরবাবু শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানাননি। শংকরবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, একটি সরকারি সংস্থায় কালো তালিকাভুক্ত এক ঠিকাদার কীভাবে সরকারেরই আরেকটি কাজের বরাত পেয়ে যান ? আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলছেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এসজেডিএ-র বর্তমান চেয়ারম্যান তথা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেছেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে বলব। পূর্ত দপ্তরের আলিপুরদুয়ারের বাস্তুকার (নির্মাণ) প্রদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ২৫ জুন আলিপুরদুয়ার জেলার তৃতীয় জন্মদিনে প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধনের কথা ছিল। তাই তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে মূল কাজের বরাত পাওয়া ডেলটা নামে সংস্থার হাত থেকে কিছু কাজের বরাত সরিয়ে নিয়ে কয়েকজন ঠিকাদারকে দেওয়া হয়। তখনই কাজ পান শংকরবাবু।
কিন্তু কালো তালিকায় থাকা ঠিকাদারকে বেছে নেওয়া হল কোন যুক্তিতে। জবাব নেই কারো কাছেই।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2tawgDO
July 18, 2017 at 10:13AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন