অমলিন সুমিতা সান্যাল। তেমন নজরকাড়া রুপসী ছিলেন না৷ তবে আলগা শ্রী ছিল৷ সেখানেই চোখ টেনেছিল পরিচালকদের৷ সত্যজিৎ রায়, হৃষীকেশ মুখার্জী, তরুণ মজুমদার৷ স্বনামধন্য পরিচালকদের একাধিক ছবিতে তিনি। আজ রবিবার কলকাতার আকাশে মুখভার৷ থেমে থেমে বৃষ্টি৷ এমনই মেঘলা দিনে প্রয়াণ হল সুমিতাদেবীর৷ বয়স হয়েছিল ৭১ বছর৷ বার্ধক্য জনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন৷ ১৯৪৫ সালে সুমিতাদেবীর জন্ম দার্জিলিংয়ে৷ সেখান থেকেই যেন দমকা পাহাড়ি হাওয়া ছড়িয়েছিল আরব সাগর তীরে৷ সেই হাওয়ায় মাতোয়ারা আসমুদ্র হিমাচল৷ কুহেলি ও আনন্দ, বাংলা এবং হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের দুই ক্লাসিক ছবিতে দর্শকদের মনে চিরকালীন স্থান সুমিতা সান্যালের৷ এছাড়াও একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন৷ ১৯৭১ সালেই মুক্তি পেয়েছিল দুটি ছবি৷ কুহেলির রহস্যময়ী চরিত্র নাকি আনন্দের স্নিগ্ধ মুহূর্ত কোনটিতে তিনি সেরা মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন৷ এ নিয়ে চর্চা চলবে৷ কিন্তু ভারতবাসী মনে রাখবেন এক রেণুকে৷ আনন্দ ছবির রেণু৷ এই অদ্বিতীয় হিন্দি ছবির চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবেই সুমিতাদেবী বিশেষ সমাদৃতা৷ ১৯৭১ সালে মুক্তি পেয়েছিল বলিউড ক্লাসিক আনন্দ৷ ছবির দুই মুখ্য অভিনেতা রাজেশ খান্না ও অমিতাভ বচ্চন৷ দুই অভিনেতার পাশাপাশি দর্শকদের মনে ছাপ রেখেছিলেন সুমিতা সান্যাল৷ শেষ বিকেলের মুহূর্তে একাকিনী রেণুকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিল উপমহাদেশ৷ এখনও সেই রেশ ছড়িয়ে রয়েছে৷ না জিয়া লাগে না সত্যি কি মন ভরে?



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tvMuKD
July 10, 2017 at 01:32AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top