ঢাকা::ঢাকার আশুলিয়ার জঙ্গি আস্তানায় র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করা চার জেএমবি সদস্যকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের আগের একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের পুলিশ হেফাজতের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
এর আগে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাদের হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদন শুনে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাইরুজ তাসনীম চারজনকে চার দিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন বলে প্রসিকিউশন পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান।
আটক জঙ্গিরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার সাংকিভাদা গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক মাসুদ (১৮), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার কদলপুর মেয়াজি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ইফরানুল ইসলাম ওরফে সুফিয়ান খান (২০), গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উদাখালী গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে রাশেদুল নবী রাশেদ (২২) ও সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার হোগলি কৃষনগর গ্রামের আব্দুল হান্নান আলীর ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (২১)। মোজাম্মেল হক তাদের দলনেতা বলে র্যাব জানায়।
গতকাল রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আটক চারজন গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী নব্য জেএমবির সারওয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য ছিলেন তারা। ওই এলাকায় তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল।
মুফতি মাহমুদ বলেন, জঙ্গিরা বের হয়ে আসার পর বাড়িটিতে বেশ কিছু শক্তিশালী বিস্ফোরকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সেগুলো পর্যায়ক্রমে নিষ্ক্রিয় করার কাজ করে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব রাত ১টার দিকে বাড়িটি ঘিরে অভিযান চালায়। রাত ৩টার দিকে ‘জঙ্গিরা’ জানতে পারেন র্যাব বাড়িটি ঘিরে রাখে। রবিবার সকাল ৮টার দিকে ‘জঙ্গিরা’ র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ে। র্যাব বারবার তাদের আত্মসমর্পণের জন্য মাইকে আহ্বান জানায়।
সবশেষ তাদের বলা হয়, দুপুর ১২টার মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে র্যাব অভিযান চালাবে। এতে ‘জঙ্গিরা’ নিহত হতে পারে। এরপর এক ‘জঙ্গি’ আত্মসমর্পণ করেন। তার মাধ্যমে বাকি তিন ‘জঙ্গিকে’ আত্মসমর্পণ করানো হয় বলেও জানান মুফতি মাহমুদ খান।
from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2urXqu2
July 17, 2017 at 09:37PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন