ঢাকা, ০২ জুলাই- গত ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর যদি বাংলাদেশ ক্রিকেটে কোনো উন্নতির বিপ্লব হয়ে থাকে, সে বিপ্লবের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সবশেষ শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ড সফরের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও বাংলাদেশ দলের সম্মানজনক লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সেটা যেমন অধিনায়কত্বে, তেমনি মাপা বোলিংয়ে। দেশীয় ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম তো বটেই, বিশ্ব ক্রীড়া সংবাদমাধ্যমেরও মূল্যায়ন এমন। কিন্তু এই মাশরাফিরই বিকল্প খুঁজছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার নেতৃত্ব ক্ষমতা কি তবে ফুরিয়ে গেছে? তবে কি মাশরাফি আর থাকছেন না? রোববার (২ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরে বিসিবির কার্যালয়ে বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সংবাদ সম্মেলন শেষে এই প্রশ্নটাই উঠলো সাংবাদিকদের মধ্যে। পাপন তার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মাশরাফির ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অধিনায়ক না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে ২০১৯ বিশ্বকাপে নতুন অধিনায়ক নিয়োগের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই গৃহীত হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। টি-টোয়েন্টি থেকে মাশরাফির অবসরের প্রসঙ্গ টেনে বিসিবি সভাপতি বলেন, আপনারা দেখেন টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফির অধিনায়কত্ব নিয়ে কথাবার্তা চলছিল। আমরা সন্দিহান ছিলাম যে ২০২০ সাল পর্যন্ত সে খেলতে পারবে কিনা। সেজন্যই কিন্তু আমরা তখন ওর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। তবে সরে যাওয়ার ঘোষণাটি (টি-টোয়েন্টি থেকে) মাশরাফি নিজে থেকেই দিয়েছে। নতুন অধিনায়ক নিয়ে আমরা ভাবতে শুরু করেছি (আর মাশরাফি অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন) এটাইতো একটা বড় উদাহরণ। ২০০১ সালে বাংলাদেশ দলে অভিষিক্ত মাশরাফি বর্তমানে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক থাকলেও তিনি গত এপ্রিলে সে ফরম্যাট থেকে অবসর নেন। বারবার ইনজুরিতে পড়া মাশরাফি ২০০৯ সালের পর আর টেস্ট খেলেননি। গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরকালে বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর মাশরাফি টি-টোয়েন্টিকে বিদায় ঘোষণার সময় বলেন, কোনো কারণে চাপ তৈরি না হলে ওয়ানডে চালিয়ে যেতে চান আরও। কারণ ক্রিকেটকে এখনও উপভোগ করছেন তিনি। ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও মাশরাফি তার ওয়ানডে ক্রিকেট উপভোগের কথা জানান। বলেন বিবেচনাযোগ্য সময় পর্যন্ত তা চালিয়ে যেতে চান। সেসময় একটা বাক্যে কিছুটা অনিশ্চয়তাও প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল এ অধিনায়ক। বলেন, সবসময় একটা পর্যায়ে থাকা কঠিন, বিশেষ করে বাংলাদেশে। তারপরও আশা করছি আমি খেলা চালিয়ে যেতে পারবো। কিন্তু বিসিবি সভাপতি যে বললেন মাশরাফি ২০১৯ বিশ্বকাপে অধিনায়ক আর নাও থাকতে পারেন, তাহলে? পাপনের এই ঘোষণায় এখন মাশরাফির বক্তব্য কী হবে, সে নিয়েই উৎকণ্ঠা ক্রিকেট-সমর্থকদের মনে। অধিনায়কত্ব নিয়ে বিসিবিতে আলোচনা ওঠার পর যে তিনি টি-টোয়েন্টিই ছেড়ে দিয়েছেন। এখন যদি ওয়ানডেও! ২০০১ সালের নভেম্বরে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে মাশরাফির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পথচলা শুরু হয়। টেস্ট থেকে অবসর না নিলেও ২০০৯ সালের পর আর টেস্টে খেলেননি তিনি। এখন পর্যন্ত ৩৬টি টেস্ট এবং ১৭৯টি ওয়ানডে আর ৫৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাশরাফি। এ আর/১৮:১৫/০২ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2udnhCT
July 03, 2017 at 12:19AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন