কলকাতা, ১১ জুলাই- সারদা কাণ্ডে শতাব্দী রায়কে জেরা সিবিআই-এর। সোমবার দুপুরে তৃণমূল সাংসদের বাড়িতে যান তদন্তকারী অফিসাররা। সিবিআই সূত্রে খবর, সারদার সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেন কী হয়েছিল তা জানতে চাওয়া হয়। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের থেকে প্রতি মাসে কত টাকা তিনি পেতেন, কেন টাকা নিয়েছিলেন, সারদার সঙ্গে তাঁর কী চুক্তি ছিল এই সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূল সাংসদকে প্রশ্ন করা হয়। সারদার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে বীরভূমের সাংসদের থেকে নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল। তা খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সারদা কাণ্ডে হাজিরা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে শতাব্দী রায়ের দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে প্রথম তাঁকে তলব করে ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নোটিসের জবাব আইনজীবীর মাধ্যমে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সেই ব্যাখ্যা সন্তুষ্ট হয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শতাব্দীকে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি সিবিআইও তাঁকে তলব করেছিল। নানা কারণে তাঁর গরহাজিরার জেরে সোমবার কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে শতাব্দী রায়ের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সুদীপ্ত সেনের সংস্থা সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন বীরভূমের সাংসদ। সিবিআই সূত্রে খবর, সারদা ও শতাব্দীর মধ্যে যে আর্থিক চুক্তি হয়েছিল, তা নিয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। চুক্তির বাইরে শতাব্দী টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে শতাব্দী রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সারদার সঙ্গে তাঁর চুক্তির ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি শতাব্দী রায়। সারদার পাশাপাশি রোজভ্যালি কাণ্ডেও তৃণমূল সাংসদের নাম জড়িয়েছে। দলীয় নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, নোটবাতিল নিয়ে প্রতিবাদের জন্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হলেও পরে শর্তাধীন জামিন পেয়েছিলেন মদন মিত্র। রোজভ্যালিতেও ছাড়া পেয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জেরার পর সিবিআই কী পদক্ষেপ করে তা নিয়ে কৌতুহল বাড়ছে।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uf9kYo
July 12, 2017 at 06:23AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন