কলকাতা, ১১ জুলাই- বনধের কানাগলিতে পাহাড়। হিংসার আগুন জ্বলছে তিন মহকুমায়। কবে বনধ উঠবে কেউ জানে না। সাধারণ মানুষের চূড়ান্ত দুর্ভোগ। দার্জিলিংয়ের এই অচলাবস্থায় ফের ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশিথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, টানা বনধ চললেও, কারও কোনও হেলদোল নেই। কেন্দ্র এবং রাজ্যে ক্ষমতায় আলাদা দল বলে কি মানুষের এই ভোগান্তি, প্রশ্ন তুলেছে আদালত। পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ে তারা কী করছে এই নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে প্রায় এক মাস ধরে উত্তাল পাহাড়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তাণ্ডবে পুড়ছে একের পর এক সরকারি অফিস। লাগাতার বনধে জনজীবন বিপর্যস্ত। সাধারণ মানুষের রুটি-রুজিতে টান পড়েছে। শুরু হয়েছে খাদ্যসংকট। দার্জিলিংয়ের এই অবস্থা নিয়ে গত মাসে কলকাতা হাই কোর্টে হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। প্রধান বিচারপতি নিশিথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। এদিন পাহাড়ের অবস্থা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পাহাড়ের পরিস্থিত দুঃখজনক। কারও কোনও এ নিয়ে হেলদোল নেই। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারে আলাদা দল আছে বলে কি পাহাড়ের মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে, প্রশ্ন তুলেছে আদালত। পাহাড় শান্ত করতে যা করার দরকার ছিল তা করা হয়নি বলেও মনে করে ডিভিশন বেঞ্চ। পাহাড়ের এই পরিস্থিতিতে আধা সামরিক বাহিনী নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বিস্তর টানাপোড়েন চলে। রাজ্য অভিযোগ করেছিল বাহিনী পাঠানোর ব্যাপারে কেন্দ্র সহযোগিতা করেনি। পাল্টা জবাব দেয় কেন্দ্র সরকার। এই নিয়ে আদালত জানায় কেন্দ্র ও রাজ্য একসঙ্গে কাজ করলে অবস্থা সামলানো যাবে। এই পরিস্থিতির জন্যই মানুষ মারা যাচ্ছে, দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বলে আদালত মনে করে। পাহাড় নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকের পর কতটা অগ্রগতি হল তা আদালতকে জানাতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে এই নিয়ে আদালতকে হলফনামা জমা দিতে হবে। বনধের ধাক্কায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি হল এবং কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন তাও জানাতে হবে হাই কোর্টকে।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tKaW9z
July 12, 2017 at 06:15AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top