জেলার দাউদকান্দির গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে উপজেলার জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিকেলে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এ হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে। ভাঙচুরের ঘটনায় তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, মঙ্গলবার দাউদকান্দি উপজেলার জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র ইয়ামিন ভূইয়া (১৮) বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে উক্ত কলেজের পুকুরে ডুব দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে। ইয়ামিনের বন্ধুগণ সে কত মিনিট পানিতে ডুব দিয়ে থাকতে পারে এ নিয়ে বাজি ধরলে ইয়ামিন পুকুরে ডুব দিয়ে অনেকক্ষণ থাকার পর আর না উঠলে তার বন্ধুগণ তাকে পুকুর থেকে উঠিয়ে স্থানীয় দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. আল আমিন মিয়াজী কলেজ ছাত্র ইয়ামিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডাক্তাররা জানান, ইয়ামিনের বন্ধুগণ হঠাৎ লাঠি নিয়ে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে হাসপাতালের নিচ তলায় বিভিন্ন অফিস কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কুমিল্লা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মহিদুল ইসলাম, দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রনজন কুমার ঘোষ, গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদসহ বিপূল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) মোহাম্মদ আলী সুমন, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাতে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জালাল হোসেন জানান, ওই ছাত্রের চিকিৎসায় ডাক্তারদের কোনো অবহেলা না থাকলেও হাসপাতালে হামলায় চালিয়ে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে তা দুঃখজনক। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমিন জানান, এ ঘটনায় দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অরবিন্দ বিশ্বাসকে প্রধান করে এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মো, সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার আমিনুল ইসলামকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, ভাংচুরের ঘটনায় জুরানপুর কলেজের ছাত্র অনার্স প্রথম বর্ষের অনুপম, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র জামাল ও নবিল হাসানকে আটক করা হয়েছে।
from Comillar Khabor – Comilla News http://ift.tt/2vBVLib
July 19, 2017 at 06:05PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন