আমার নির্মীয়মান দলিল ছবির গান নিয়ে বসেছিলাম প্রখ্যাত সুরকার আলাউদ্দিন আলীর বাসায়। সেখানে খ্যাতনামা গীতিকার মনিরুজ্জামান মনিরের সঙ্গে ছিল তানিয়া রহমান। এই সময় তানিয়ার বাবা ফোন করে জানাল- রাজ্জাক ভাই মারা গেছেন। বিশ্বাস হয়নি। একটু পর আমার ছোটবেলার বন্ধু, ন্যায় অন্যায়, পিতা মাতা সন্তান, বাংলার বধূ ও সত্যমিথ্যার মতো সুপার ডুপার হিট ছবির প্রযোজক আব্দুস সোবাহান ফোন করে জানতে চাইল রাজ্জাক ভাই মারা গেছেন- সত্যি নাকি? এবার দারুণ চমকে গেলাম! গানের কাজ বন্ধ করে দ্রুত টিভি অন করলেন আলাউদ্দিন আলী। সঙ্গে সঙ্গে সব চ্যানেলে ভেসে এলো ব্রেকিং নিউজ- নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই। সবাই বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে গেলাম। তারপর একের পর এক ফোন আসতে লাগল। রাজ্জাক ভাইয়ের খবরের জন্যে সবাইকে বললাম, আমি জেনে জানাব। ফোন করলাম বাপ্পাকে। ধরল সাংবাদিক অভি মহিউদ্দিন। সে বলল, ছটকু ভাই, লাশ এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে। মেজ ছেলে কানাডাপ্রবাসী বাপ্পীর সাথে যোগাযোগ চলছে। জানাজা কখন হবে কিছু স্থির হয়নি। হলে আপনাকে জানাব। ফোন রাখতেই আবার ফোন এলো বাংলাদেশ প্রতিদিনর সাংবাদিক আলাউদ্দিন মাজিদের। সে বলল, আপনি কি রাজ্জাক ভাইয়ের বাসায় যাবেন? আমি বললাম, না, আমার বুক ব্যথা করছে এবং তার লাশ এখন হাসপাতালে। আর ওখানে এখন অনেক ভিড়, গিয়ে দেখা যাবে না। কাল জানাজা হবে সেখানে যাব। মাজিদ বলল, ঠিক আছে, আপনি বিশ্রাম করুন। কী বিশ্রাম করব, একটু পরই একের পর এক ফোন আসতে লাগল। আমার মেয়ে স্নাতা ফোন করে বলল, আব্বা তুমি বাসায় চলে এসো। তার ভয় রাজ্জাক ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে আমার যদি কিছু হয়! আমি হার্টের রোগী। বললাম, আসছি। পথে কয়েকজন সাংবাদিক আমার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইল। আমি বললাম, ভাই, আমি এখন বাসায় যাচ্ছি। ওখানে গিয়ে আপনাদের জানাব। এর মধ্যে রাইজিংবিডি অনলাইন পত্রিকা থেকে রাহাত সাইফুল ফোন করে বলল, রাজ্জাক ভাইকে নিয়ে লিখতে হবে। আমি বললাম, লিখব, অবশ্যই লিখব। নইলে বুকের ব্যথা আমার কমবে না। কিন্তু কোথা থেকে লেখা শুরু করব? অনেক অনেক স্মৃতি রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে। সেই ১৯৮২ সালে আমার প্রথম পরিচালনার ছবি নাত বৌ থেকে শুরু। রাজ্জাক, ববিতা, গোলাম মুস্তাফা, হাসান ইমাম, শওকাত আকবর ও নুতন প্রবীর মিত্র অভিনীত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১১ নভেম্বর ১৯৮২ সালে। সেই থেকে আজ ২০১৭; দীর্ঘ ৩৫ বছরের সম্পর্ক রাজ্জাক ভাইয়ের সাথে। এইতো গত রোজার ঈদে নামাজ পড়ে নাতিকে নিয়ে মসজিদ থেকে ঘরে ফিরতেই মোবাইল বেজে উঠল। ফোন ধরে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে একটা বজ্রকণ্ঠ ভেসে এল- কই থাকেন ফোন ধরতে এত দেরী হয় কেন? আমি থমকে গেলাম। গলা না চিনতে পেরে বললাম, নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। অপর পাশ থেকে সাথে সাথে পাল্টা প্রশ্ন- কোথায় নামাজ পড়লেন? বললাম, শরীরটা ভালো নেই তাই বাসার পাশের মসজিদে। সাথে সাথে আবার প্রশ্ন- মসজিদের নাম কী? আমি এবার একটু বিরক্ত হলাম। বললাম, নাম জানি না। অপর প্রান্ত থেকে আবারো প্রশ্ন- যে নামাজ পড়িয়েছে সেই হুজুরের নাম কী? এবার আমি সত্যি বিরক্ত হলাম। ওদিকে বউ ডাকছে- আসতে না আসতেই আবার ফোন নিয়ে পড়লে, নাতি সায়রকে নিয়ে বসে সেমাই খাও। আমি বিরক্ত কণ্ঠেই বললাম, হুজুর সাহেবেরও নাম জানি না, আপনার নাম বলেন। আপনি কে বলছেন? অপর প্রান্ত থেকে বিস্মিত কণ্ঠ ভেসে এলো- আমি কে বলছি, আমাকে আপনি চিনতে পারছেন না! আমার নম্বর আপনার মোবাইলে সেভ করা নেই। আমি রাজ্জাক। এবার আমার ভীষণ লজ্জা পাওয়ার পালা। ক্ষণিকের মধ্যে সব বিরক্তি কণ্ঠ থেকে লাফিয়ে পালিয়ে গেল। অপরাধবোধ এসে কণ্ঠে ভর করল। বললাম, সরি রাজ্জাক ভাই। আপনার দুটো নম্বর সেভ করা আছে কিন্তু এটা নেই। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। পারলে আমি মাটির সাথে মিশে যাই। রাজ্জাক ভাই হেসে বললেন, আসেন না কেন? অনেক দিন আসেন না। একা একা ভালো লাগে না। আমি বললাম, রাজ্জাক ভাই, আমার হাঁটুতে ব্যথা ছিল। হাঁটতে পারতাম না ঠিক মতো। আসবো অবশ্যই। সেই কথা রাখতেই এই কিছুদিন আগে গুলশানে তার বাসায় গিয়েছিলাম তানিয়াকে নিয়ে। ইচ্ছা রাজ্জাক ভাইয়ের সাথে দেখা করে বারিধারা ডিওএইচে গিয়ে শাবানার বাসায় দেখা করব। সম্রাট ড্রইং রুমে বসিয়ে বলল, বসেন আব্বা নামাজ পড়তে মসজিদে গেছেন। বসলাম। তার ড্রইং রুমে ঢুকলেই অনেক পুরস্কারের সাথে একটা মূল্যবান ছবি দেখবেন। যেখানে রাজ্জাক ভাইকে মাঝে নিয়ে একপাশে দাঁড়িয়ে আছেন নায়ক আলমগীর, নায়ক ফারুক। আরেক পাশে নায়ক সোহেল রানা ও নায়ক উজ্জল। শিল্পীদের সহ-অবস্থানের এই ছবি দেখলে মনটা ভরে যাবে। একটু পরে রাজ্জাক ভাই এলেন নামাজ পড়ে। প্রাণ খুলে অনেক কথা বললেন। বাংলা চলচ্চিত্র সংকট নিয়েও সেদিন তার সঙ্গে অনেক কথা হয়েছিল। সরকারের সিনেপ্লেক্স বানাবার কথা, এফডিসিতে সেন্ট্রাল সার্ভার বসানোর কথা, এফডিসির দুরবস্থার কথা, শিল্পী সংকটের কথা, সিনেমা হলের কথা- কতা বিষয়! তার সিনেমা না বানাবার জন্যে বেশি দায়ী করলেন এখন সিনেমা হলে ছবি চালাবার অনিয়মকে। বললেন, নাম সিনেমা হল, অথচ সিনেমা চালাবার মেশিন আপনাকে ভাড়া করে হলে দিতে হবে। তারা মেশিনও কিনবে না। টিকিটের টাকার ভাগ তো নেবেই, মেশিনের ভাড়াও আপনাকে দিতে হবে। শুধু তাই না ভ্যাট, বিভিন্ন ট্যাক্স, থার্ড পার্টি কমিশন, রিপ্রেজেনটেটিভ বিল, অফিস ভাড়া- সব আপনাকে দিতে হবে। যেন ছবি বানিয়ে আপনি পাপ করে ফেলেছেন। তারপর আছে ভিডিও পাইরেসি। আমার কোটি টাকার ফকির রিলিজের পর ভিডিও পাইরেসি হয়ে গেল। ভালো চলছিল ছবিটা। পাইরেসি হতেই মুখ থুবড়ে পড়ল। ছবি বানিয়ে লাভ তো নেই শুধু টেনশান। কথায় কথায় মাগরিবের আযান দিলো। তার নামাজের সময় হলো, আমারো শাবানার বাসায় যেতে হবে সুতরাং সেদিন উঠতে হলো। হঠাৎ রাজ্জাক ভাই বলল, আপনার কলা খাবেন না? দেখলাম ডাইনিং টেবিলের পাশে দেয়ালে কলা ঝুলছে। একদিন অনেক আগে রাজ্জাক ভাইয়ের সাথে বাসায় স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসেছিলাম। অনেক কিছু খাবার পর যখন বের হচ্ছি তখন দেয়ালে কলার দিকে আমার দৃষ্টি গিয়েছিল। আমি অপেক্ষা না করে একটা কলা ছিঁড়ে নিয়ে খেতে খেতে বলেছিলাম, ভাবী আমি কলা খাচ্ছি। সেই থেকে রাজ্জাক ভাইয়ের বাসায় গেলে হয় সম্রাট নয় রাজ্জাক ভাই নইলে লক্ষীভাবী আমাকে কলা খাবার কথা মনে করিয়ে দিতেন। এসব অনেক অনেক হৃদয় নিংড়ানো কথা- বলে শেষ করা যাবে না। রাজ্জাক ভাইয়ের জীবনী লিখব। অনুমতি নিতে বাসায় গেলাম। একটা ছোট ডিজিটাল হ্যান্ডি ক্যামেরাসহ আমার ভায়রা প্রতাপ খানকে নিয়ে গেলাম। তিনি মন খুলে বলে গেলেন তার জীবনের নানান কথা। ভায়রা আমার সুনিপূণ হাতে ভিডিও করল। আবার একদিন ফোন করে বলল, চলে আসেন নায়িকাদের সাথে আমার কিছু মজার মজার ঘটনা আছে সেগুলো লিখবেন। নইলে জীবনীগ্রন্থ নিরস হয়ে যাবে। গেলাম রাজ্জাক ভাইয়ের বাসায়। তিনি বললেন, আর ভায়রা ভিডিওতে রেকর্ড করলেন। সবচেয়ে বড় আমার সৌভাগ্য যে, আমি আজ পর্যন্ত তাকে কিছু বলে নিরাশ হইনি। নাত বৌর পর আমার দ্বিতীয় ছবি রাজদণ্ড। প্রথম ছবিটি মোটামুটি যাবার পর আমার প্রযোজক ইনসিস্ট করল- একটা ফোক ছবি করতে। তখন সুপারহিট নায়ক-নায়িকা ওয়াসিম ও অঞ্জু ঘোষ। তাদের নিয়েছি। আমার খুব ইচ্ছে আমি রাজ্জাক ভাইকে দিয়ে মহরত উদ্বোধন করাব। কেউ তার কাছে প্রস্তাব দিতে রাজী না। আমি গেলাম। রাজ্জাক ভাই সানন্দে রাজী হয়ে ছবির মহরতে ক্ল্যাপস্টিক দিয়েছেন। আমার আরেক ছবি বিপজ্জনক ভালোবাসার গানের মহরত উদ্বোধন করেন রাজ্জাক ভাই। আমাদের মহল্লার ধুমপান ও মাদকবিরোধী সংগঠন প্রত্যাশার সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান আমাকে বলল, লালবাগ দূর্গ ধুমপান মুক্ত এলাকা করব। রাজ্জাক ভাই প্রধান অতিথি হয়ে ধুমপানবিরোধী বক্তৃতা দিলে জনগণের মনে খুব এফেক্ট হতো। আমি রাজ্জাক ভাইকে বললাম। তিনি লালবাগ দূর্গে হাজির হয়ে দূর্গকে ধুমপান মুক্ত এলাকা ঘোষণা করলেন। আমার আরেক বন্ধু টিভি প্রযোজক মাকসুমুল আরেফিন এসে একদিন বলল, কলকাতার উত্তম কুমারের মতো আমরা চ্যানেল আইতে রাজ্জাক ভাইয়ের ছবি নিয়ে একটা সিরিজ করব- ফিল্ম থেকে টেলিফিল্ম। তুই রাজ্জাক ভাইয়ের অনুমতি এনে দে। আমি রাজ্জাক ভাইকে বললাম। তিনি লিখিত অনুমতি দিয়ে দিলেন। আমি যখন যে কাজে রাজ্জাক ভাইয়ের কাছে গিয়েছি কোনো দিন তিনি ফিরিয়ে দেননি। রাজ্জাক ভাই প্রেম শক্তি ছবির স্ত্রিপ্ট করবেন। আমাকে ডাকলেন। আমি তখন দিনে দুই তিন পার্টির কাজ করি অভিজাত ঢাকা ক্লাবে রুম নিয়ে। রাজ্জাক ভাইও ঢাকা ক্লাবে রুম নিলেন গল্প লেখার জন্যে। পাশে রুম নিয়েছেন শাবানার ছবির গল্প লেখার জন্যে সাদেক সাহেব। প্রখ্যাত প্রযোজক নাসির উদ্দিন দিলু কলকাতার নায়ক প্রসেনজিতের একটা ছবি আমি সেই মেয়ের স্ক্রিপ্ট একটু রিরাইট করার জন্যে ঢাকা ক্লাবে রুম নিয়েছেন। রাজ্জাক ভাই শুনে বলল, আপনি বোধহয় আমার কাজ করতে পারবেন না। আমি বললাম, আপনার কাজ করব। আমি দিনে দুই রুমে কাজ করেও রাজ্জাক ভাইয়ের স্ক্রিপ্টের কাজ সময় মতো করে দিয়েছিলাম। এত মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি যে, এরপর থেকে কোনো স্ক্রিপ্ট করলেই আমাকে ডাকতেন। প্রচণ্ড তর্ক হতো তার সাথে স্ক্রিপ্ট লেখার সময়। তিনি অবাস্তব কিছুই গ্রহণ করতে চাইতেন না। কোনো দৃশ্য বা গল্প একটু যদি মিল থাকতো কোনো মাদ্রাজি বা মুম্বাইয়ের ছবির সাথে তিনি প্রচণ্ড প্রতিবাদ করতেন। নকল অনিয়ম তিনি কিছুই সইতে পারতেন না। আমাদের শাওন সাগরে রাজ্জাক ভাই এসেছেন। বড় ভালো লোক ছিলো ছবির শুটিং হচ্ছিল। মো. মহিউদ্দিন পরিচালিত, সৈয়দ শামসুল হকের কাহিনি নিয়ে নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করে রাজ্জাক ভাই জাতীয় পুরস্কার পেলেন। এই ছবিতে একটা গান আছে- হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলেই ঠুস। খাটিয়া করে রাজ্জাক ভাই বাবার লাশ নিয়ে যাচ্ছে কবর দিতে। খাটে কেউ শুয়ে লাশের ভূমিকায় অভিনয় করতে রাজী হচ্ছিল না। সবাই ডামির কথা ভাবছিল কিন্তু পরিচালক মহি ভাই দারুণ খুঁতখুঁত করছিল- একটা এত বড় গান ডামি দিয়ে হবে মেনে নিতে পারছিল না। আমি তখন শাওন সাগরের একজন পরিচালক হিসেবে শুটিংয়ে ছিলাম। আমি শুয়ে পড়লাম খাটিয়াতে লাশ হয়ে। আমাকে কাঁধে করে নিয়ে কবরের দিকে রওয়ানা দিলেন রাজ্জাক ভাই। আর নেপথ্যে বাজছিল গান- হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, দম ফুরালেই ঠুস। আজ রাজ্জাক ভাইয়ের লাশ খাটিয়া করে যাবে বনানী কবরস্থানে। আমি ইচ্ছে থাকলেও বয়সের ভাড়ে খাটিয়া কাঁধে নিতে পারব না। তবে চিরকাল রাজ্জাক ভাইকে আমি আমার মনের মধ্যিখানে মন যেখানে সেখানে ধরে রাখব। সোনার ফ্রেমে বাঁধাতে হয়ত পরব না রাজ্জাক ভাইয়ের ছবি কিন্তু মনের মণি কোঠায় বাঁধিয়ে রাখব। এফডিসিতে রাজ্জাক ভাইয়ের নামাজের জানাজায় এসেছিলাম। নায়ক আলমগীর আমাকে দেখে বললেন, এই যে ছটকু সাহেব, রাজ্জাক ভাইয়ের জীবনী লিখছেন। ওই দেখুন জীবনের শেষ দৃশ্য। লাশবাহী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন নায়করাজ রাজ্জাক। উত্তম কুমার হবার স্বপ্ন চোখে নিয়ে বোম্বের রঙিন হাতছানি দূরে সরিয়ে রেখে রিফিউজির বেশে এই দেশে এসে ৬৫ টাকার ভাড়া বাড়িতে থেকে জীবন সংগ্রাম শুরু করেছিলেন আজকের কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাক। ৭৬ ছুঁইছুঁই করা বয়সেও যিনি তার আত্মার সাথে মিশিয়ে রেখেছেন চলচ্চিত্র। যার ধ্যান জ্ঞান চিন্তা চেতনা সবই আবর্তীত হতো চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে। যিনি বলেছেন, অভিনয় করতে করতে আমি মরে যেতে চাই। বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী, ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত নির্বাচিত হওয়া প্রথম চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কার ও লাইফটাইম এ্যচিভমেন্ট সম্মাননা। সবকিছু ছেড়ে, আমাদের সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকে চলে গেলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মহান আল্লাহ তাকে বেহেশত দান করুন। আমিন। লেখক: চিত্র পরিচালক
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vVZVEP
August 23, 2017 at 06:14AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন