ঢাকা, ১০ আগস্ট- বাংলা সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে রহস্য কেবল বেড়েই চলেছে। মৃত্যুর একুশ বছর পর গত ৭ই আগস্ট এক ভিডিও বার্তায় তার মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে মামলার আসামি রাবেয়া সুলতানা রুবি দাবি করেছেন তার স্বামী জন চেনই খুন করেছে সালমান শাহকে। এ নিয়ে পুরো দেশে রীতিমতো তোলপাড় লেগে গেছে। শুধু তাই নয়, সালমান শাহ হত্যার বিষয়টি এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। এদিকে প্রথম ভিডিওতে রুবি নিজের স্বামীকে সালমানের খুনি বললেও এখন তিনি নিজ বক্তব্য বদলে ফেলেছেন। গতকাল এক ফেসবুক লাইভে তিনি নতুন ভিডিও বার্তায় বলেন, আমার স্বামী জড়িত কিনা সেটা আমি নিশ্চিত না। আবার এও বলেন, আমি বলব না যে এটা আত্মহত্যা বা হত্যা। এটা আমার বলা উচিত না। আমি আগেরবার যেটা বলেছি ভিডিওতে সেটাতে আমার ভুল (রং) ছিল। আমি ইমোশনাল ছিলাম বেশি, যার জন্য আমি বলেছিলাম হত্যা। হত্যা নাকি আত্মহত্যা এটা সামিরা এবং তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বের হবে। খবর মানবজমিনের। রুবি আরো বলেন, আত্মহত্যা নাকি হত্যা এটা নিয়ে আর কথা বলবো না। ওইদিন মাথা ঠিক না ছিল না, তাই ওসব কথা বলেছিলাম। এখন আমার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে কোনোদিন ভাববেন না যে বাইরের মানুষ আমায় কিছু করেছে। সবসময় মনে করবেন আমার পরিবারের মানুষ আমায় কিছু করেছে। রুবি আরো বলেন, ইমনের (সালমান শাহর) স্ত্রী সামিরা কেন কথা বলে না? তার বাবা হীরা কেন এত কথা বলে? ওকি (সামিরা) কি ভিআইপি? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর থেকেও কী উপরে যে উনি কথা বলতে পারেন না? জনগণের সামনে আসতে পারে না? কেন উনার ভয়? কারণ কথা বলতে পারবে নাতো। ওদের ধরুন তাদের ধরলে আরো অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, সামিরা কেন সামনে এসে বলে না যে, আমি কি করেছি, আমাকে নিয়ে কেন এত প্রশ্ন বা আমার কি কারণ ছিল যে আমি ওকে খুন করবো। কিছুইতো বলে না ও, যা বলে ওর বাপ শফিকুল হক হীরা। সালমান শাহের মৃত্যুর দিনের একটি ঘটনা উল্লেখ করেন রুবি। ভিডিওতে তিনি বলেন, ইমন যেদিন মারা যায় সেদিন সামিরা একটা কাপড়ের পুটলার মধ্যে কিছু একটা দিয়েছিল, যেটা আমি আমার ছেলের কাছ থেকে শুনেছি। ভিডিওতে তিনি বলেন, এটি একটি খুন যেহেতু হাজবেন্ড মারা যাওয়ার পর সামিরা হাসপাতালে না গিয়ে গয়নাগাটি বা কোনো কিছু আমি জানি না কি ছিল ওই কাপড়ের মধ্যে বাঁধা। এতগুলো বছর পর এসব কথা বলার কারণ উল্লেখ করে রুবি বলেন, আমি এর আগে জানতাম সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের ওপর বিশ্বাস করেই এতদিন জানতাম আত্মহত্যা করেছেন সালমান শাহ। বাংলাদেশে পোস্ট মর্টেমের রিপোর্টে কোনো না কোনো ভেজাল করা যায়। তিনি বলেন, আমার স্বামীকে কিন্তু কেউ দোষ দেবেন না। আমি যে কথা বলেছি সেটা আমার জানের ভয় ছিল দেখেই বলেছি। আমি ভিডিওতে বলার পরে আর জানের ভয় করিনি। ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করেছি মানুষের জন্য না। নীলা ভাবীর (সালমান শাহর মা) জন্য একটি মেসেজ ছিল। এসব ভাইরালে আমি বিশ্বাস করি না। এটা আত্মহত্যা না, খুন হতে পারে। আমার মুখ দিয়ে অন্য কথা বের হয়ে গেছে। যোগ করে বলেন, যাই হোক কে কি মনে করে এতে আমার কিছু যায় আসে না। আমার স্বামীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সামিরাকে নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে নিয়ে কথা হয়নি। আমাকে অনেকে অনেক কিছু বলছে। আমি অনেক কিছু করেছি। কিন্তু খুন করিনি, কারণ খুন করার সাহস আমার নেই। উল্লেখ্য, সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর মারা যান। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশকে জানান তার স্ত্রী সামিরা। কিন্তু সালমান শাহের পরিবার একে হত্যা বলে আসছিল। তবে গত দুই দশকেও এই মামলার রহস্য উদঘাটন হয়নি। পুলিশ দুই দফা ময়নাতদন্ত করে একে আত্মহত্যাই বলেছিল। কিন্তু নারাজি আবেদন করেছে সালমান শাহের পরিবার। মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তও হয়েছিল। এখন মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইয়ে রয়েছে। এমএ/ ০৭:১০/ ১০ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vmfQvP
August 11, 2017 at 01:11AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন