দার্জিলিং, ১৩ অক্টোবরঃ টাকভরের নীচে নিম্বুবস্তিতে রীতিমতো অস্ত্র কারখানা তৈরি করে ফেলেছিল মোর্চা। জঙ্গলের ভিতর থেকে ছুটে আসা গুলি লেগে সহকর্মী এসআই অমিতাভ মল্লিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরই অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ অফিসাররা বুঝে যান পরিস্থিতি ভয়াবহ। পাতলেবাসে থেকে বেশ কিছুটা নীচে টাকভরের একপ্রান্তে জঙ্গলঘেরা নিম্বুবস্তি। ৩০ তারিখ দার্জিলিংয়ে দেখা দেবেন বলে বিমলের গতকালের ঘোষণার পরই সোর্স মারফত খবর আসে সিকিম থেকে নিম্বুবস্তিতে এসে লুকিয়ে আছেন মোর্চা সুপ্রিমো। মোস্ট ওয়ান্টেড বিমল গুরুংকে হাতের কাছে পেয়ে আর দেরি করতে চাননি দার্জিলিংয়ের দায়িত্বে আসা স্পেশাল অফিসাররা। গোপন বৈঠকেই ব্লু প্রিন্ট ঠিক হয়ে যায়। রাতেই হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু সোর্সের খবর থেকে পুলিশ আঁচ করতে পারেনি জঙ্গলের মধ্যে মোর্চার অস্ত্র কারখানাও রয়েছে। টাকভরের জঙ্গলে পুলিশ পা রাখতেই শুরু হয়ে য়ায় গুলির লড়াই। মারা যান অমিতাভ। জখম হন আরও পাঁচ পুলিশকর্মী।
পুলিশের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন, এলাকা ছেড়ে পালাতে পারেননি বিমল গুরুং। এলাকারই কোনো গোপন আস্তানায় লুকিয়ে রয়েছেন। ঘটনার পরই পাতলেবাস থেকে টাকভরের রাস্তা আটকে দিয়েছে পুলিশ। ওই এলাকার ধারেকাছে কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। চলছে চিরুণি তল্লাশি। এখনও পর্যন্ত সাতটি এ কে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে প্রচুর কার্তুজ। পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ এ কে-৪৭ রাইফেলের গুলিতেই মারা গিয়েছেন অমিতাভ।
ছবিঃ গুলিতে মৃত এস আই অমিতাভ মল্লিক।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2kKmLLX
October 13, 2017 at 01:15PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন