ঢাকা, ২০ নভেম্বর- স্ত্রী সামিরাকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন চিত্রনায়ক সালমান শাহ। পারিবারিক কলহের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি সালমান শাহর মামা কুমকুমের। আজ (সোমবার) আদালতে আলমগীর কুমকুম জানান, মৃত্যুর আগের দিন সালমান শাহ আমাকে ফোনে জানায় মামা আমি সামিরাকে ডিভোর্স দিবো আপনি বাসায় আসেন। আমি বলি মামা মাথা গরম করো না, কি হয়েছে? সালমান শাহ বলে ওর সাথে আর সংসার করা সম্ভব না। আমার কাছে সামিরার বিষয়ে আপত্তিকর প্রমাণ ও ডকুমেন্ট আছে। আপনি আসেন দেখাবো। এর পরের দিনই সংবাদ পাই শালমান শাহ আত্মহত্যা করেছে। তিনি আরো জানান, এটি পরিকল্পত হত্যাকাণ্ড ছিলো। এর আগে গতকাল রোববার অপমৃত্যুর মামলায় আদালতে সাক্ষী হিসেবে এ বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। আজ (সোমবার) এ মামলা প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিলো। মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই আংশিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সালমান শাহ হত্যা মামলার আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলার সাক্ষীরা বর্তমানে হুমকির মধ্য আছে। আমরা থানায় জিডি করেছি। অনেক সাক্ষীকে ঠিকানায় যেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। আংশিক প্রতিবেদনে তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে অনেক দূর অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে, আজ (সোমবার) আদালতে সালমান শাহর কয়েকশ ভক্ত ন্যায্য বিচারের দাবিতে আদালতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ। ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা করেন। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। এরপর প্রায় ১২ বছর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে জানান। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের নারাজির আবেদন দাখিল করেন। নারাজি আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। আদালত নারাজি আবেদনটি মঞ্জুর করে র্যাব তদন্তভার প্রদান করেন। মামলাটিতে র্যাবকে তদন্ত দেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত বছরের ১৯ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত ভার পিবিআইয়ের হাতে অর্পণ করা হয়। সূত্র: পরিবর্তন আর/১৭:১৪/২০ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2hDDqfP
November 20, 2017 at 11:49PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন