বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে শিগগিরই বিয়েবিচ্ছেদ ঘটতে যাচ্ছে ঢাকাই ছবির আলোচিত তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের। কিছু দিন ধরেই এমন গুঞ্জন দেশীয় মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছিল। শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, শাকিব খান থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরলেই ডিভোর্সের ব্যাপারে কাগজপত্র চূড়ান্ত করবেন। কেন এ বিচ্ছেদ? এ ব্যাপারে সূত্রটি জানায়, মূলত অপুর স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণেই নাকি তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটছে। বেশ কিছু কারণে অপুর ওপর নাখোশ শাকিব। তার অনুমতি ব্যতিরেকেই নাকি অপু সব ধরনের কাজ করছেন। যে কাজগুলো শাকিব খানের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। মিডিয়ায় শাকিবের শত্রু যারা তাদের সঙ্গেই অপুর ওঠবস। বিভিন্ন টকশো কিংবা আড্ডায় শাকিবকে অন্য নায়িকাদের সঙ্গে জড়িয়ে হেয় করে কথা বলাসহ আরও অনেক কারণে অপুর ওপর বিরক্ত শাকিব। বিষয়গুলো নিয়ে শাকিব মানসিকভাবে বেশ অশান্তিতে আছেন বলে সূত্র জানায়। এসব কারণে শেষ পর্যন্ত নাকি তিনি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু বলেননি শাকিব। এ মুহূর্তে তিনি কলকাতার ছবি মাস্ক-এর শুটিংয়ে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন। বিচ্ছেদের ব্যাপারে তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, সময় হলে সব কিছু স্পষ্ট হবে। আমি এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। এমনিতেই আমি আমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এর মধ্যে কেউ যদি আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করে সেটি মেনে নেয়া যায় না। আমিও একজন মানুষ। বিষয়টি সবারই মনে রাখা উচিত। মুখে স্পষ্টভাবে কিছু না বললেও বিষয়টি অস্বীকারও করেননি তিনি। শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ডিভোর্সের ব্যাপারে যখন কথাবার্তা চলছিল তখন নাকি শাকিবকে বিভিন্ন রকম হুমকিও দেয়া হয়েছিল। এখনও তার কাছের লোকজনের কাছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্নজন তথ্য আদায়ের চেষ্টা করছেন। বিষয়গুলোর স্পষ্ট কোনো দালিলিক প্রমাণ না দিলেও বিচ্ছেদের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিচ্ছে সূত্র। এ বিষয়ে অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। তবে শাকিব যদি এ ধরনের কোনো কিছু বলে থাকে তা হলে আপাতত কিছুই বলার নেই আমার। যেসব অভিযোগ করা হয়েছে এটি সত্য নয়। আমি চেষ্টা করি সবার মন জুগিয়ে চলার জন্য। শাকিব যেহেতু আমাকে কাজে নেবে না, তাই আমি নিজের মতো করে কাজ করার চেষ্টা করছি। এর বাইরে আমি আর কিছুই করিনি। তবে সব কিছু করার আগে তার ভাবা উচিত- তার একটি সন্তান রয়েছে। প্রসঙ্গত ২০০৮ সালে শাকিব অপুর বিয়ে হয়। বিষয়টি তারা দীর্ঘ আট বছর গোপন রেখেছিলেন। অবশেষে চলতি বছর ১০ এপ্রিল একটি টিভি চ্যানেলে সন্তানসহ লাইভে এসে বিয়ের বিষয়টি ফাঁস করে দেন অপু। সেই থেকে তাদের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। তথ্যসূত্র: যুগান্তর অনলাইন এআর/২২:৪৮/১০ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2zua6CY
November 11, 2017 at 04:46AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন