রায়গঞ্জ, ২১ নভেম্বরঃঅবশেষে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। শেষ হল এক বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনের। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রিয়রঞ্জনের জীবনের সাক্ষী থেকে গেল রায়গঞ্জ। যে নদীর তীরে বসে কবিতা লিখতেন প্রিয়, সেই কুলীক নদীর তীরে রায়গঞ্জ বন্দর শ্মশান সাক্ষী রইল শেষ যাত্রারও।
প্রয়াত প্রিয়রঞ্জনের শেষকৃত্য দেখতে এদিন বাঁধ ভেঙে পড়েছিল মানুষের। রায়গঞ্জের আকাশ-বাতাস, অগণিত জনতা আর কুলীক নদীকে সাক্ষী রেখে প্রিয় চললেন অনন্ত লোকে।
আজ বিকেলে রায়গঞ্জ পুলিশ ট্রেনিং ময়দানের হেলিপ্যাডে প্রিয়রঞ্জনের দেহ এসে পৌঁছয়। সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, ঘরণী দীপা ও পুত্র মিছিল। ঠিক বিকেল সাড়ে ৪ টে, তাঁকে গান স্যালুট দেওয়া হয়।
সেখান থেকে হুডখোলা জিপে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে। আগেও প্রিয় শহরে ফিরলে প্রিয়রঞ্জনকে নিয়ে এমন উন্মাদনা লক্ষ্য করা যেত। এবারটা কিন্তু খানিক ব্যাতিক্রম। প্রিয়রঞ্জনের গাড়ির সঙ্গে মানুষ ফুল ছোঁড়ার পাশাপাশি স্লোগান তুলেছে ‘প্রিয়রঞ্জন অমর রহে’।
এর আগেও প্রিয়রঞ্জনকে নিয়ে রায়গঞ্জের মানুষ স্লোগান তুলেছে। তখন শোনা যেত ‘প্রিয়-দা জিন্দাবাদ’। এবার তাঁরা বলছেন ‘প্রিয়া-দা অমর রহে’। ছোট্ট একটি ফারাক জানান দিচ্ছে, আজ তাঁর শহরে শেষ পা দেওয়া। তাই কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন প্রিয় মানুষটাকে শেষবারের মতো চোখের দেখা দেখতে।
কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মৌসম বেনজির নুর, কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতা সিপি যোশী। ছিলেন স্থানীয় সমস্ত নেতৃত্ব। কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে আনার আগে তাঁকে নিয়ে যাওয়া দলীয় কার্যালয়ে। নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর ক্লাবে, তারপর বাড়ি হয়ে শ্মশানঘাটে।
কুলীক নদীর তীরে তাঁর চিতা সাজানো ১২ কুইন্টাল চন্দনকাঠে। গোটা শ্মশানের রাশ পুলিশের হাতে। খানিক বাদেই এল প্রিয়রঞ্জনের দেহ। চিতার আগুনে বিলীন হয়ে গেলেন প্রিয়রঞ্জন।
ছবি ও সংবাদদাতাঃ বিশ্বজিৎ সরকার
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2mNgTCH
November 21, 2017 at 11:00PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন