কলকাতা, ১৩ ডিসেম্বর- রাজস্থানে কাজ করতে গিয়ে বাংলার আফরাজুল খানের খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার উঠে এল কেরলের নাম। সে রাজ্যে কাজ গিয়ে খুন হতে হল আরও এক বাঙালি যুবককে। মালদার শ্রমিক আফরাজুল খানের খুনের ঘটনার পরই রাজ্যনীতিতে চরম তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। শাসক, বিরোধী উভয় দলই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে যে যার মতো ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছে। ওই সময়ই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখে আবেদন করেন, ভিন রাজ্যে কর্মরত বাংলার মানুষের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে একটি করে কার্যালয় গড়ে উঠুক। কাজের সূত্রে বাইরে থাকা বাঙালিরা যে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে তাঁরা খুব সহজেই সহযোগিতা চাইতে পারবেন ওই সরকারি অফিসগুলি থেকে। নিজের আবেদনকে জোরালো করতে অধীর ওই অফিসের সম্ভাব্য নাম রাখেন বাংলা সাথী। মুখ্যমন্ত্রী আফরাজুল-কাণ্ডে যে ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তাতে চার দিক থেকেই ভিন রাজ্যে কর্মরত বাঙালিদের নিরাপত্তার দিকটি নিয়ে চিন্তা করার আবেদন আসতে শুরু করে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এ ব্যাপারে যথেষ্ট চিন্তিত। বাংলার বাইরে ঠিক কত জন এই মুহূর্তে কর্মরত রয়েছেন, সে বিষয়েও বিভিন্ন তথ্য সরকারি ভাবে সংগ্রহের কাজ চলছে। কিন্তু বাদ সাধছে অধীরের প্রস্তাবে। কেন? নবান্ন সূত্রে খবর, ভিন রাজ্যে বাংলা এ ধরনের কার্যালয় তৈরি করতে গেলে বেশ কিছু প্রশাসনিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি ভাবতে পারে এর ফলে তাদের দুর্বলতা প্রমাণিত হতে হচ্ছে। তা ছাড়া বাঙালিরা দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত এই বিশাল পরিমাণ মানুষকে সহায়তা দিতে প্রতিটি রাজ্যে আলাদা করে অফিস নির্মাণ মোটের উপর ব্যয়বহুল একটি বিষয়। জানা গিয়েছে, এ সব যুক্তির বাইরে রয়েছে আরও একটি মোক্ষম কারণ। ভিন রাজ্যে কর্মরত বাঙালিদের জন্য এ ধরনের অফিস তৈরি হলে এ রাজ্যে কর্ম বিনিয়োগের বিষয়টিকে ঘিরে কানাঘুষো ভবিষ্যতে হইচইয়ে পরিণত হতে পারে। এ রাজ্যের সরকার কি তা হলে মানুষের হাতে যথোপযুক্ত কাজ তুলে দিতে পারছে না -এমন একটা প্রশ্নই তখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। ফলে নবান্ন-কর্তারা প্রকাশ্যে এ নিয়ে তেমন কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও নবান্নের দেওয়ালে কিন্তু সেই কথারই অনুরণন শোনা যাচ্ছে। তথ্যসূত্র: খবর অনলাইন আরএস/১০:০০/১৩ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2nUJBlz
December 13, 2017 at 05:12PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top