কলকাতা, ১৪ ডিসেম্বর- পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁর ফোনে আড়ি পাতছে বলে মামলা করেছিলেন মুকুল রায় । সেই মামলার শুনানি হল বুধবার । দিল্লি হাইকোর্ট ওই অভিযোগ এক প্রকার খারিজ করে দিল। বুধবার বিচারপতি বিভু বাখরু মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেন । গত ২৫ সেপ্টেম্বর তৃণমূল ছাড়েন মুকুল রায় । পাশাপাশি দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে তৃণমূল থেকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয় । ১১ অক্টোবর রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি । ৩ নভেম্বর তিনি বি জে পি তে-তে যোগ দেন । নতুন দলে যোগ দেওয়ার পর তাঁর ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে বলে দিল্লি হাইকোর্টে অভিযোগ জানান মুকুল রায় । পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁর ফোন ট্যাপ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন । তাঁর অভিযোগ, বেশ কয়েকমাস মাস ধরে তাঁর ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে । তিনি আদালতে আবেদন জানিয়ে বলেন, তাঁর যে দুটি নম্বর রয়েছে তাতে নজরদারির কোনও নির্দেশ সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থাগুলিকে দেওয়া হয়েছিল কি না, তা জানাক ওই সংস্থা দুটি । পাশাপাশি, তিনি আরও অভিযোগ করেন, যাঁরা বর্তমানে তৃণমূল দলে নেই, তাঁদের ফোনেও রাজ্য সরকারের তরফে আড়িপাতা হয়েছে । গত ২০ নভেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্র ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে স্পষ্ট করে জানাতে বলেছিল রাজ্য পুলিশ কোনও ভাবে মুকুল রায়ের ফোনে আড়ি পাতছে কিনা । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক,পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পুলিশ, সি বি আই, এম টি এন এল, ভোডাফোনকেও নোটিশ পাঠায় আদালত। ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই মর্মে তাদের জবাব তলব করা হয় । শুধুই পশ্চিমবঙ্গ সরকার নয়, বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারও আদালতে হলফনামা দিয়ে এই অভিযোগ অস্বীকার করে । এর পরেই বিচারপতি এই মামলা শোনার আর দরকার নেই বলে জানিয়ে দেন । যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে একই ধরনের ফোন আড়ি পাতার অভিযোগ তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও । মুকুল রায়ের আইনজীবী সোম মণ্ডল জানিয়েছেন, রায়ের কপি হাতে পেয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ ঠিক করা হবে । তবে, এর ফলে তাঁর মক্কেলেরই সুবিধা হল বলেও দাবি করছেন সোম মণ্ডল । সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য আদালত অবমাননার মামলা করতে পারেন বলে জানান তিনি । বলেন,আমরা প্রমাণ নিয়ে আবার আদালতে যাব। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য আদালত অবমাননার মামলা করতে পারি। যদিও এদিন দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে,যদি মুকুল রায় তাঁর অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নিয়ে আদালতে আসেন, তাহলে সেটি বিবেচনা করা যেতে পারে । তথ্যসূত্র: যুগশঙ্খ এআর/১২:২০/১৪ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2BmiKEQ
December 14, 2017 at 06:19PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন